বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२०ध्” নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ঘামানে চাই। দেশব্যাপী দারিদ্র্যের দাওয়াই কি ? নতুন আয়ের পথ স্বষ্টি করিতে হইলে কেবল স্বাৰ্থত্যাগ, আধ্যাত্মিকতার বক্তৃতায় চলিবে না। স্বার্থভ্যাগের বক্ততা করা অতি সোজা । তাহ৷ সকলেই পারে। স্বাৰ্থত্যাগ করাও নেহাং কঠিন কিছু নয়। কিন্তু আয়ের পথ স্বষ্টি করিতে পারে কে ? যার ট্যাকে পুজি আছে, যার কোমরে টাকার জোর অাছে, কেবল সেই পারে । খুব বড় বড় দার্শনিকের বুখনি আমাদের প্রায় সকলের মুথেই আছে। আমরা বাক্যবীর তো বটেই। কিন্তু আয়ের নতুন নতুন পথ স্থষ্টি করিতে আমরা অপারগ। কঃ পন্থাঃ ? এর জন্য পুজির দরকার যে । সেই বস্তু আমাদের কই ? পুজি ওয়ালা লোক ভারতের বাহিরে । যদি পুজি ওয়াল লোক কোথাও থাকে তবে সে ঐ ইংলণ্ডে, আমেরিকায়, ফ্রান্সে, জাৰ্ম্মাণিতে । এ দের গাটরীতে কিছু টাকা আছে । আজ এদেরকে বল ;–“ভারতভূমিতে লোহার খনি আছে, কয়লার খাদ আছে, বনজঙ্গল আছে, আর আছে লোকজন। তোরা তোদের দেশ থেকে কোটী কোটী টীকা আনিয়া আমাদের মাটীতে গাড়িয়া ষা। বড় বড় কল কারখানা গড়িয়া তোল । বড় বড় ব্যাঙ্ক সৌধ প্রতিষ্ঠা কর। আমরাও খুদ কুড়াইয়া বিশ পঞ্চাশ লাখ টাকা তুলিয়া তোদের সঙ্গে সঙ্গেই কাজ করিয়া যাইব ।” তাহা হইলেই হাজার হাজার মজুরের আর চাষীর অবস্থা বদলাইতে আরম্ভ করিবে । আর এদের আর্থিক উন্নতি স্বরু হইলেই মধ্যবিত্তও থাইয়া বাচিবে । অধিকন্তু; দেশের ভিতর যেখানে যেখানে টাকা আছে তারও কিছু-কিছু আসিয়া স্বদেশী ব্যাঙ্ক আর বীমা প্রতিষ্ঠানে জমা হউক । তাতেও আমাদের উদ্দেশু খানিকটা পূর্ণ হইতে পারে। কিন্তু তার পরিমাণ এত কম যে, বিদেশী পুজি ছাড়া বৰ্ত্তমানে কিছুকাল পৰ্য্যন্ত আমাদের আর উপায় নাই ।