পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

র্ত্যাদড়ের দর্শন ২১৯ এই হইতেছে একপ্রকার চিন্তা-প্রণালী, একপ্রকার দর্শন, একপ্রকার সাধনা । এরকম চিন্তা-প্রণালীর লোক সৰ্ব্বত্রই দেখা যায়। মাথা ঘামাইবার দরকার হয় না । এতে হিসাব লাগে না । যা আছে, যা চলিতেছে সেইটেই “রীতি", সেইটেই “নীতি” । তার বিবেচনায় দুনিয়া এই ভাবে তিন হাজার বৎসর ধরিয়া চলিয়াছে, আরো তিন হাজার বৎসর এই ভাবে চলিবে । এই পথের যাত্রী হইতেছেন গডডলিকাপ্রবাহের বৈজ্ঞানিক বা সনাতনপন্থী দার্শনিক । ভ্যাদড়ের জগৎ-কথা বেয়াড়, যে সে বলিবে—“এই সংসারটা সুগের বটে, কিন্তু এ ছাড়াও আর একটা সংসার কায়েম হইতে পারে । যে দুনিয়াতে আমি ঘুরিয়া বেড়াইতেছি, তাহা ছাড়া যে আর একটা জুনিয়া থাকিতে পারে না, তা আমি বলি কি করিয়া ? অামার রক্তমাংস বলিতেছে যে, আমার হাড়গোড় বদলিয়া যাইবার জন্তই তার জন্ম ” ত্যাদড় প্রথমেই সন্দেহ তুলিবে, বলিবে,—“এই পৃথিবীটা ডান দিকে চলিতেছে, এটাকে বা দিকে বোধ হয় চালাইলে ও চালাইতে পারি।” ত্যাদড় বলিবে “পুথিবীর মানচিত্রে ভারতের দক্ষিণে একটা সাগর, উত্তরে একটা পাহাড় আছে ; কিন্তু প্রশান্ত মহাসাগরের এদিকে ভারত মহাসাগর না হইয়া আর এক জায়গায় থাকিলে মহাভারত খানা পচিয়। যাইত কি ? ইত্যাদি ইত্যাদি। অর্থাৎ পৃথিবীটাকে উণ্টাইয়া পাণ্টাইয়া নতুন করিয়া একটু উচুতে তুলিয়া ধরা যাইতে পারে কিনা দেখা দরকার ।” ত্যাদড়ের হাতে সে ক্ষমতা আছে কিনা সে কথা সে আলোচনা করে না । সে বলে মাত্র এই যে, পৃথিবীটার দক্ষিণ দিকে অত বড় মহাসমুদ্র না থাকিয়া অন্ত কোথাও যদি থাকিত, তাহা হইলেও পুথিবীটা চলিলেও চলিতে পারিত। র্ত্যাদড় বলিতেছে—