বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৬ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন তিনের পিঠে কতকগুলো শূন্য থাকিলেই একটা বিপুল রাশি দাড়ায় না। শূন্তগুলার মূল্য অনেক সময় এক দামড়িও না হইতে পারে। কেননা কোন কোন ক্ষেত্রে এক একটা মানুষ দশ-বার হাজার লোকের সমান— হাতের জোরে আর মাথার জোরে ৷ হইতে পারে বাংলায় পাচ কোটি লোকের বাস । কিন্তু যদি জিজ্ঞাসা করেন, “পাচ কোটি লোকের কিন্মং কতখানি ?” আমি বলিব “আমাদের লোকসংখ্যা পাচ কোটি নয়, বোধ হয় পঞ্চাশ হাজার মাত্র ।” আর যদি জিজ্ঞাসা করেন—”ইংরেজের সংখ্যা কত ?” তখন বলব—“ওরাও সাড়ে চার বা পাঁচ কোটি নয়, হয়ত দুই বা আড়াই কোটি।” ওদের আড়াই কোটির সঙ্গে যখন টক্কর দিতে চাই, তখন যদি মনে রাখি আমরা সংখ্যায় মাত্র পঞ্চাশ হাজার, তাহা হইলেই বাস্তব সত্যকে স্বীকার করা হয় এবং আমরা বুঝিতে পারি ভারত কোথায়— এশিয়া কোথায় । ইয়োরোপের সঙ্গে এশিয়াকে টক্কর দিতে হইলে, যুবক এশিয়াকে, যুবক ভারতকে, যুবক বাংলাকে কত হাত পানির নীচ থেকে কাজ সুরু করিতে হইবে তা একবার মনে মনে কল্পনা করুন, আর যথার্থ আদমসুমারির, দেশের খাটি লোক-সংখ্যার কথা ভাবুন। বৃহত্তর ভারভ এবার বলতে চাই পঞ্চম স্বত্র । গডডলিকাওয়ালারা বলিয়া থাকেন, “ভারতের উন্নতির একমাত্র উপায় ‘বৃন্দাবনং পরিত্যজ্য পাদমেকং ন গচ্ছামি । জন্মিয়াছি এদেশে, মরিতেও হইবে এদেশে।” এই হইতেছে গড্ডলিকার দর্শন। র্ত্যাদড় বলিতেছে—“ভাই, চোখ খুলিয়া একবার দেখ এবং বল—রামমোহন রায় থেকে আরম্ভ করিয়া, মধুস্থদন আর বঙ্কিমচন্দ্র থেকে আরম্ভ করিয়া আশুতোষ, চিত্তরঞ্জন, প্রফুল্লচন্দ্র রায়, রবীন্দ্রনাথ, জগদীশচন্দ্র পর্য্যন্ত যার নামই কর না কেন, এই লোকগুলি কি “বুন্দাবনং