পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৮ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন কায়েম করা হইতেছে আমাদের একমাত্র সাধনা । একশ’ বৎসর ধরিয়া অজ্ঞানে-সজ্ঞানে যা কিছু করিয়াছি, আজ সজ্ঞানে তাই করিব। প্রাণ ভরিয়া যুবক ভারতকে আজ খোলা মাঠে দাড়াইয়া স্বীকার করিতে হইবে যে পাশ্চাত্য খোরাক খাইয়াই আমরা মাহুষ হইয়াছি।” এই দেখুন অধ্যাপক প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ এখানে বসিয়া আছেন। ইনি কখনও সমুদ্র পাড়ি দেন নাই, গোড়া হিন্দু। কিন্তু ইনিও একজন মস্ত ‘গো-খাদক’ । চসার, শেক্সপীয়ার মুখে না দিয়া ইনি কোন দিন জলস্পর্শ করেন না । এই রকম অখাদ্য-থেকে মানুষ বাংলায় আজ কত ? হাজার হাজার, লাখ লাখ, যারা বি-এ, এম-এ পড়িতেছে, যত লোক খবরের কাগজ চালাইতেছে, যত লোক স্বরাজ আন্দোলনের পাও, সবাই পশ্চিমা সভ্যতার রস শুষিয়া নিজ নিজ আত্মাকে পুষ্ট করিয়াছে ! “অখাদ্য না খাইয়া, হুইটম্যান-আইনষ্টাইন-প্যাস্ত্যয়র না পড়িয়া মানুষ হইয়াছে, এমন লোক বর্তমান ভারতে কয় জন আছেন বাপ কা বেটা ? যুবকভারতের সভ্যতার, যুবক বাংলার স্বদেশী আন্দোলনের শতকরা ১৯ অংশ বিদেশী । অতএব আজ যদি আমাদের কিছু কাজ করিতে হয় খোলাখুলি সজ্ঞানে বলিতে হইবে—প চি কোটি নরনারীর প্রত্যেককে ঐ রকম অখাদ্য-থেকে বানাইয়া পাশ্চাত্য আধ্যাত্মিক দন্তল-ওয়ালার জাতিতে পরিণত করা আবখ্যক । জাপানী কণয়দ কথাটা আরো সোজা করিয়া বলা দরকার। আমাদের ছেলেরা ইস্কুল কলেজে এণ্টাস, এল-এ, বি-এ, এম-এ, ডি এস-সি পাশ করিতেছে করুক। আশুতোষ পাঁচ হাজারের জায়গায় পচিশ হাজারের পাশের ব্যবস্থা করিয়াছেন । কিন্তু পাচ কোটি বাঙ্গালীর কাজে হাজার পচিশেক মানায়