পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭৮ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ங்- சிவ துடித ஆகக-ம் து தும் পুনর্গঠনই ইহার প্রধান অঙ্গ। গরু এবং বাদ্য সমস্ত আসল ব্যাপার নয় । সাধারণ লোকের সংস্কারগত মনোবৃত্তি কথঞ্চিৎ সস্তুষ্ট করিবার জন্যই ঐ গরু ও বাদ্য সমস্ত সমাধানের কথা প্যাক্টে অবতারণ করা হইয়াছে । হিন্দু-মুসলিম প্যাক্ট ১৯২৩ সনের ডিসেম্বর মাসে রচিত হয় এবং ইহার উপর ভিত্তি করিয়া চিত্তরঞ্জনের স্বরাজ্য দলের স্বষ্টি হইয়ছে। এই প্যাক্ট দ্বারা মোসলমানদের জন্য—লোক সংখ্যানুপাতে বঙ্গলার কাউন্সিলে ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে কতকগুলি সভ্যপদ নিৰ্দ্ধারিত করা হয় । সরকারী চাকুরীর ও সংখ্যানুপাতিক হিস্ত। তাহদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয় । হিন্দু-মুসলিম প্যাক্ট বাস্তবিক পক্ষে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক স্বার্থ সামঞ্জস্তের একটা মূল্যবান দলিল । দুনিয়ায় বাচিয়া থাকিতে হইলে খাওয়া পড়া আগে চাই । অন্ন-সমস্তাই সকলের বড় সমস্ত । রাষ্ট্রীয় অধিকার ও আর্থিক লেনদেন মীমাংসার গোড়াতে রহিয়াছে এই পেট-চিন্তা । অধ্যাত্মবাদ দ্বারা আত্মার মুক্তি হইলেও হইতে পারে কিন্তু ইহা দ্বারা জাগতিক কল্যাণ সম্ভবপর হয় কিনা সন্দেহ । সংসারে বসবাস করিতে হইলে খাওয়া-পরার বিষয়ে অষ্ঠের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়ার দরকার আছে । ক্ষুধার্তের মগজে অধ্যাত্মবাদের চিন্তা আসিতে পারে না। তবে অধ্যাত্মকেই যাহারা জীবনের একমাত্র ব্রত করিতে চান, র্তাহীদের কথা স্বতন্ত্র । কিন্তু তাহাদিগকেও স্মরণ রাখিতে হইবে যে, খোদার দরগায় ভাত মাছের সিন্নি না দিলেও দুধ ঘীয়ের সিরি ভোগ দিতে হয় । দেশের নেতারা যদি কিযাণদের যথাথ মঙ্গল চান, যদি তাহারা স্বরাজসংগ্রামে তাহাদের সাহায্য চান, তবে কৃষকদের অভাব-অভিযোগ, ব্যথা