পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|రిం নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন কোন প্রতিষ্ঠান সম্বন্ধেই দেওয়া হয় নাই । যে প্রদেশে অথবা যে যুগে প্রতিষ্ঠানটাকে যথাসম্ভব পরিপূর্ণ মূৰ্ত্তিতে পাকড়াও করতে পারিয়াছি একমাএ সেই প্রদেশ বা সেই যুগের সাক্ষ্যই লওয়া হইয়াছে । প্রত্যেক প্রদেশ এবং প্রত্যেক যুগ হইতে রগড়াইয়া রগড়াইয়া তথ্য বাহির করিতে প্রয়াসী হইলে প্রত্যেক অধ্যায় লইয়া বর্তমান গ্রন্থের আকারের স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচনা করা সম্ভব ; কোনো কোনো পরিচ্ছেদ লইয়াও স্বতন্ত্র সুবৃহৎ গ্রন্থ রচিত হইতে পারে। সেই প্রয়াস করা কর্তব্য ও বটে । মোটের উপর হাজার দুই পৃষ্ঠা লিখিবার মতন মালমশলা আছে । তবে বৰ্ত্তমান গ্রন্থের মতলব তাহ নয় । এই উদ্দেশ্যে পাচ ছয় জন লেখক তিন তিন বৎসর করিয়া ভিন্ন ভিন্ন বিভাগে একত্রে খাটিলে বাংলা সাহিত্যে এক অপূৰ্ব্ব গ্রন্থমালা দেখা দিতে পারে । এই কেতাবকে বহরে যথাসম্ভব ক্ষুদ্র করা হইয়াছে আর এক উপায়ে । “লিপি”-সাহিত্য অথবা অন্য কোনো প্রমাণ-ভাণ্ডার হইতে লম্বা লম্বা বিবরণ উদ্ধত করা হয় নাই । এই সকল সুবিস্তৃত বিবরণের ভিতর সাধারণতঃ হয়ত বা কেবল মাত্র একটা বিশেষণে বা একটা ক্রিয়াপদে আসল কাজের কথা থাকে । বর্তমান রচনায় সেই বিশেষণটা অথবা ক্রিয়াপদটা মাত্র—তাহাও আবার অনেক স্থলেই মূলের আকারে নয়,—খাটি বিংশ শতাব্দীর ঘাট মাঠের বাংলায়,—আনিয়া খাড়া করিয়াছি । লম্বা লম্বা মৌলিক বৃত্তান্ত এবং তাহার দশগজি চওড়া তজ্জম। প্রত্নতত্বের গ্রন্থে বিশেষ মূল্যবান । কিন্তু জীবন-তত্বের পোরীর পক্ষে “ভিতরকার কথাটা” টানিয়; বাহির করাই বিজ্ঞান-চর্চার একমাত্র লক্ষ্য । প্রত্নতত্ত্বের হাবিজাবি জবরজঙ, ল্যাবরেটরিতে বা কৰ্ম্মশালায়