পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানে-চীনে বৎসর দেড়েক >>○ পড়িতেছেন তাহা সঠিক বর্ণনা করার দিকে র্তাহার প্রথম ঝোক থাকাই স্বাভাবিক । অপরদিকে বিবুত বস্তু গুলার ব্যাখ্যা করা এবং সমালোচনা করার ঝোক ও কম বেশী সকল লেখকেবই থাকে। এই ব্যাখ্যাসমালোচনার তরফট অর্থাৎ কোনো সভ্যতাকে তলাইয়া মজাইয়া বুঝিবার ও বুঝাইবার ধরণ-ধারণটা লেখক মাত্রেরই নিজস্ব। এইখানেই “নানা মুনির নানা মত” । সম্প্রতি চীনা তথ্যের কথা বলিতেছি । যাহারা আমার “চাইনীজ রিলিজান থ হিন্দু আইজ" হিন্দু চোপে চীনা ধৰ্ম্ম ) পড়িয়াছেন তাহারা লক্ষ্য করিয়া থাকিবেন যে, সেই গ্রস্থে কনফিউশিয় মত, শিন্তো, মহাযান, এবং পৌরাণিক-তাম্বিক-হিন্দু ধৰ্ম্মের তুলনায় আলোচনা সম্বন্ধে যে সকল ইঙ্গিত বা বিশ্লেষণ দেওয়া হইয়াড়ে তাহা প্রাচীন এশিয়া-বিষয়ক কোনো গ্রন্থেই বোধ হয় পাওয়া যায় না । আবার, “বৰ্ত্তমান যুগে চীন সাম্রাজ্য” গ্রন্থে পুরাণ। ৪ নয়া চীনের জীবনধারা সঙ্গন্ধে যে সকল টাকাটিপ্পনী বা শ্লেষণ-সমালোচন প্রযুক্ত হইয়াছে সেই গুলির ভিতর ও অন্ত কোনো চীন-বিশেষজ্ঞের আলোচনা প্রণালী দেখিতে প। ওয়া সাইবে কি ন সন্দেহ । মত গুলা স্বচিন্তিত ও স্বাধীন,– কতখানি গ্রহণীয় তাহ বিচারের বিষয় । যে চোখে বৰ্ত্তমান জগৎ” দেখিয় বেড়। ইতেছি •ত{হার বিস্তুত বিবরণ এখন ও পরকার করিয়া কোথা ও লেখা হয় নাই । যাহারা এই গ্রন্থের অন্তর্গত বিভিন্ন দেশসংক্রাস্ত প্রবন্ধ গুলা মাসিকপত্রের মধ্যে দেখিয়াছেন তাহারা অনেক ধনাত-পানাইয়ের ভিতর সেই চেগুটী ও হয়ত আবিষ্কার করিয়া থাকিবেন এটাকে বোধ হয় গোট “যুবক এশিয়ার” চোখ বলিতে পারি। ইংরেজিতে শিকাগোর বিশ্ববিদ্যালয় হক্টতে প্রকাশিত “ইণ্টাৰ্ণ্যাশন্তাল জান্তর্ণল অব এথিকস’নামক ত্রৈমাসিকে ( জুলাই ১৯১৮) “ফিচারিজম অব ইরং এশিয়া” প্রবন্ধ লিখিয়ছিলাম। তাহার ভিতর