বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইতিহাসের আর্থিক ব্যাখ্যা C8 ইতিহাসের “আর্থিক ব্যাখ্যা” ( , ) মানব-জাতির শৈশব সম্বন্ধে তুলনামূলক আলোচনা এঙ্গেলসের গ্রন্থের প্রথম কথা। তুলনাসিদ্ধ ইতিহাস হিসাবে এই রচনা এক উৎকৃষ্ট নিদর্শন। আর এক তরফ হইতেও এই কেতাব সুধীমহলের শ্রদ্ধা পাষ্টয়া থাকে। সে ইতিহাসের আর্থিক ব্যাখ্যা বা সভ্যতার আর্থিক ব্যাখ্যার তরফ । এই “আর্থিক ব্যাখ্যা”, “ভৌতিক ব্যাখ্যা" ইত্যাদি ধরণের “ব্যাখ্যা"টা কি চীজ ? এঙ্গেলসের গ্রন্থ স্বয়ংই এই ব্যাখ্যা-প্রণালীর প্রয়োগ-ক্ষেত্র । কেতাবটা র্যাটিলেই “ফলেন পরিচয়তে ।” সেই ব্যাখ্যা-প্রণালী প্রচারের উদ্দেশ্যেই এই কেতাব বাংলায় দেখা দিল । লরতবাসীর পক্ষে “আর্থিক ব্যাথ্যা" হজম করা কিছু কঠিন । কেননা লেখায়, বক্তৃতায়, পাঠশালায়, বাকবিতগুয়ে, কবিতায়, ইতিহাসে, খবরের কাগজে, মায় রাষ্টনৈতিক আন্দোলনের সভাসু সভায় ও আমাদের পণ্ডিত এবং জননায়কগণ আমাদিগকে দুই পুরুষ ধরিয়া একটা মাত্র বুখনি শিখাইয়া আসিয়াছেন । সেই বুথ নির মোটা কথা এষ্ট—“হিন্দু-মুসলমান আমলে নর-নারীরা ইংলোকের ধার ধারিত না । তাহারা পরলোক লষ্টয়াই মস গুল থাকিত । আমাদের পূর্ব-পুরুষগণ ছিলেন পূরামাত্রায় আত্মিক । ভৌতিক জগৎটা তাহদের জ্ঞান ও কৰ্ম্মের বহিভূত ছিল। যদিও বা কিছু অস্বর্গ ছিল তাহা ধৰ্ত্তব্যের মধ্যে নয়।” ( २ ) প্রাচীন ভারতের লোক গুলা যে মানুষ छ्लि, ইহাদের যে রক্ত-মাংসের শরীর ছিল, অতএব রক্ত-মাংসের স্বধৰ্ম্ম হিন্দু-মুসলমানদিগকে নিয়ন্ত্রিত