বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭২ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন শক্তিযোগের কোনো কোনো শাখায় বিশেষজ্ঞ হওয়া খুবই দরকার। “সৰ্ব্বান ধৰ্ম্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ" ইত্যাদি ফৰ্ম্ম লা অনুসারে জীবন না চালাইলে কেহই কখনো জগতে একটা কিছু রাখিয়া যাইতে পারে না। এক-বগৃগা, “অদ্বৈতবাদী,” শক্তি-বিশেষের ধুরন্ধরগণই নিজ নিজ গণ্ডীর ভিতর জগতের হৰ্ত্তাকর্তাবিধাতা । কিন্তু জীবনের কোন রসটা সকল রসের সেরা ? সমাজের কোন শক্তিটা আস্তাশক্তি ? জগতের কোন “বিশেষজ্ঞ” গোট দুনিয়াকে বলিতে অধিকাৰী যে “অষ্ঠান্ত সব কিছু বয়কট করিয়া একমাত্র আমার পিছু পিছু ছুট” ? কেহ কেহ হয়তো বলিবেন যে, “রাষ্ট-নৈতিক রসেই সেই আদ্যাশক্তি বিরাজ করিয়া থাকে। রাষ্ট্ৰীয় বিশেষজ্ঞেরাই দুনিয়ার হৰ্ত্তাকর্তাবিধাতা”। তাহাদিগকে বাধা দিয়া অন্তেরা বলিবেন,—“জুনিয়ার অাবহাওয়ার আদ্যাশক্তি হইতেছে বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য, সুকুমার শিল্প । এক কথায় ইহাকে বলে উৎকর্ষ, সভ্যতা, “কালচার”, “কুন্টর" ইত্যাদি। কুণ্টরের শক্তিতেই জগতের নরনারী কি ব্যক্তিগত হিসাবে কি রাষ্ট্রীয় ও সঙ্ঘগত বা সমাজবদ্ধ ভাবে নিয়ন্ত্রিত হইতেছে । বিজ্ঞান, দর্শন ইত্যাদির গতিবিধি জরীপ করিলেই দুনিয়ার আবহাওয়া হাতে হাতে ধরা পড়িবে ।” এই দুই ধরণের অদ্বৈতবাদীকে সমান ভাবে ঠু কিবার জন্ত আর এক প্রকার অদ্বৈতবাদী দেখা যায় । তাহাদের বিচারে কৃষি-শিল্প-বাণিজ্যের রসই মানবজীবনের সকল রসের গোড়ার কথা। টাকা পয়সা, ধনদৌলত, ব্যাঙ্ক, ফ্যাক্টরী ইত্যাদির কল যাহারা টিপিতেছে তাহারাই কন্টর"কে উঠাইতেছে বসাইতেছে। তাহারাই আবার রাষ্ট্র-শাসন, স্বদেশ-সেবা, সমাজ-সংস্কার ইত্যাদির চাবী নিজ ট্যাকে লইয়া ঘুরাফির করে।