পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন چا OQ، ১৯২৩ সালের বাংলা, হিন্দী ও ইংরেজি রচনায় যুবক ভারত “পর-চর্চার” পরিচয় দিতে স্বরু করিয়াছে। জগতের রাষ্ট্রক কথা, অত্মিক কথা এবং আর্থিক কথা ধীরে ধীরে ভারতবাসীর মাথায় প্রবেশ করিতেছে । ነ ( b ) এই স্রোতের মুখে “দুনিয়ার আবহাওয়া” প্রকাশিত হইতে চলিল । লেখকের পক্ষে এই কেতাব রচনা নানা কাজের এক কাজ মাত্র । যাহারা এই ধরণের লেখাপড়াকে জীবনের একমাত্র বা প্রধান কাজরূপে বরণ করিয়া লইতে পরিবেন তাহদের রচনায় বর্তমান গ্রন্থের অসম্পূর্ণত। সমূহ তিষ্ঠিতে পারিবে না সন্দেহ নাই । যে সকল তথ্য, ঘটনা, সংবাদ বা বৃত্তাস্ত আংশিক ও অসম্বদ্ধভাবে এই পৃষ্ঠাগুলার ভিতর প্রচার করা যাইতেছে সেই সব সম্বন্ধে অনুসন্ধান, গবেষণা এবং পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা ভারতের কুত্ৰাপি নাই । কিন্তু ইয়োরামেরিকায় সৰ্ব্বত্র এবং জাপানেও তাহার জন্ত বিশেষ বন্দোবস্ত আছে । দুনিয়ার আবহাওয়ায় ওস্তাদ হইয়া উঠিবার জন্ত ইংরেজ, ফরাসী, জাৰ্ম্মাণ, জাপানী এবং অন্তান্ত দেশীয় যুবকেরা সকলেই সৰ্ব্বদা বিদেশে গিয়া আডিডা গাড়ে না । নিজ নিজ স্বদেশেই বর্তমান জগৎকে মন্থন করিবার আযোজন রহিয়াছে । এই সকল আয়োজন ব্যবহার করিয়াই উহার কেহ “কনসাল” হয়, কেহ “অ্যাম্ব্যাস্তাডার” হয়, কেহ পররাষ্ট্রসচিব হয়, কেহ বিজিত দেশের “লাট সাহেব” হয়, কেহ আধুনিক ইতিহাসের অধ্যাপক হয়, কেহ সংবাদপত্রের পরিচালক হয় । অবশু দেশ বিদেশে টোটো করিয় ভবঘুর্যে-গিরি চালাইবার ব্যবস্থাও থাকে।