বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“বর্তমান জগৎ"-রচনার আবহাওয়া \రివె(: নৃ-তত্ত্ব আমাদের পাতে বড় একটা অন্তত: “সেকালে" পড়িত না । হয়ত বা এই হিসাবে নানান দেশের, নানান জাতের, নানান ভাষার বস্তুনিষ্ঠ বিবরণ বাঙালীর পক্ষে খানিকটা নতুন বোধ হইলেও হইতে পারে । যাহারা বস্তুনিষ্ঠাব আদর করেন, তাহার এই বাংলা বইগুলায়ও হেডিন-রীতি কিছু কিছু পাঠবেন। হঠাৎ একটা কথা মনে পড়িয়া গেল । প্যারিসে থাকিবার সময় একজন ফরাসী পণ্ডিত বর্তমান লেপককে আর একজন ফরাসী পণ্ডিতের সঙ্গে পরিচিত করাষ্টয়া দিবার উপলক্ষ্যে বলিয়াছিলেন,—“এ এসেছে ভারত হ’তে কলাম্বসের চোখ নিয়ে । চায় আমাদের ফ্রান্স আর পশ্চিম মুলুক আবিষ্কার করতে ” এই ধরণের উপমা বা তুলনা ইংল্যাণ্ডে, ইয়াঙ্কিস্থানে, ইতালিতে নানা দেশেই একাধিকবার শুনিতে হইয়াছে। অবশ্য কোন একটা ভালমন্দ মতামত বেমালুম হজম করিয়া ফেলা এই অধমের হাড়মাসে লেখা নাই । কাজেই “ভারতীয় কলম্বাস” উপাধি খাইয়া ও অথবা "কলাম্বাসের চোপ” পাইয়া ৭ বিশেষ কিছু চঞ্চল হইয়া পড়ি নাই । ( 8 ) তবে বর্তমান জগৎটা “অবিস্কার" করা যে যুবক ভারতের পক্ষে একটা মস্ত সমস্তা, সে বিষয়ে এ ষ্ট পৰ্য্যটকের কোনো দিনত সন্দেহ ছিল না, এখনো নাই । শ’ তই-দেড়েক বৎসর পরিয়া “মৰ্ত্তমান জগং* ভারতাত্মাকে খুব জোরসে ঘায়ের পর ঘা লগাইতেছে । তবুও “বর্তমান জগৎ”কে পাকড়াশু করিবার আস্তরিক আর যথোচিত প্রয়াস ভারতীয় নরনারী করিয়াছেন কিনা সন্দেহ । বিশ্বশক্তির সদ্ব্যবহার সম্বন্ধে ভারতসন্তান বড়ই উদাসীন । এই সম্বন্ধে নানা কথা নানা উপলক্ষ্যে বলিয়াছি বাংলায় ও ইংরেজিতে ।