বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*বর্তমান জগৎ"-রচনার আবহাওয়া \లన8 কাটাইয়াছি। স্বাধীন, পরাধীন, নিম-স্বাধীন সকল প্রকার জাতিই অভিজ্ঞতায় ঠাই পাইয়াছে ; গরীব লোক, বড় লোক, মামুলি লোক, নামজাদ লোক, পথের কাঙাল হইতে রাজকুমার পর্য্যস্ত কোন লোকই নিবিড় আত্মীয়তার গণ্ডীতে বাদ পড়ে নাই । সকলের সঙ্গে মেল-মেশেই পাইয়াছি মধুর ব্যবহার আর বন্ধুত্বের সম্বন্ধ সৰ্ব্বত্রই, সকল সমাজেই, এমন কি বিলাতেও নরনারীর সঙ্গে লেনদেনগুলা অকপট সৌহাৰ্দ্দ্য ও আনন্দের প্রতিমূৰ্ত্তিই ছিল । কাজেই বিফলতা, নৈরাশু, দুঃথবাদ ও বুকভাঙ্গা বেদনার দর্শন আর যুক্তিশাস্ত্র এই লেখকের মজায় বসিতে পারে নান্ত । জগতের নরনারীকে সস্নেহ চোখেই দেখিতে অভ্যস্ত গুহ স্নাছি । আর পুথিবীকে, পোলাখুলি, মোটের উপর, নানা দুঃপদার দ্রা-গোলামী-নিৰ্য্যাতন-নিপীড়ন-হিংসাপরঐকাতরতা নিমকহারামি সৱে ৪,—সুখের আস্তান রূপে প্রচার করাষ্ট স্বধৰ্ম্মে দাড়াইয়া গিয়াছে । তাই লিথিয়াছি,— এই পৃথিবী স্বৰ্গ আমার ছাড়ব নকি? আমি এরে, নয়া দুনিয়ার তল্লাসে ও দিল দিবনা ছেড়ে । চাদের বুক জাকাল বটে, হৃদয়ে নাই অগ্নিহার, নাসায় বয়না প্রাণের নিঃশ্বাস পোড়। পাহাড় মৃত্তি তার । হুয্যালোকে দীপ্ত সে যে ময়ুর পাপায় কাকের মতন,