বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 о о নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন সম্প্রতি কয়েক বৎসর ধরিয়া বিদ্যা-চর্চাও সাহিত্যসেবার আর এক মুল্লুকে চলাফেরা করিতেছি । বোম্বাইয়ে নামবার পরই “ইণ্ডিয়ান ডেলি মেল” ( ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯২৫ ; কাগজের প্রতিনিধিকে যে সব কথা বলিয়াছি, তাহার ভিতর এই বিষয়ে কিছু উল্লেখ আছে। প্রথমতঃ আন্তর্জাতিক লেনদেনের জ্ঞানকাও ও কৰ্ম্মক ও আজকালকার সাধনায় উচ্চস্থান অধিকার করিতেছে। দ্বিতীয়তঃ, ধনবিজ্ঞান আর আর্থিক জীবন-সম্পকিত গবেষণায় আর আন্দোলনেও প্রচুর সময় দিতে হইতেছে । এই দুষ্ট ধারার কৰ্ম্ম বিদেশে থাকিতে থাকিতেই মুরু হইয়াছে । তাহার চিহ্ন “ইকনমিক ডেহেবলপমেণ্ট” আর “পলিটক্স অব বাউণ্ডারাজ” নামক দুই গ্রন্থ। দেখা যাউক এই দিকে কত দুর অগ্রসর হওয়া যায় । ১৯১৪ সনের গোড়ার দিকে যে বাঙলা দেশ দেখিয়া গিয়াছিলাম, তাহার তুলনায় আজকার বাঙলা দেশ ঢের উন্নত, বিস্তৃত ও গভীর । বাঙলার নরনারী কর্তব্যজ্ঞানে, কৰ্ম্মদক্ষতায়, ব্যবসা-বুদ্ধিতে, শিল্প-কৰ্ম্মে, বিদ্যাচর্চায়, সাহিত্য-সেবায় অনেক দূর উঠিয়াছে । ১৯০৫৷৭ সনের ভাবুকতায় যে সকল লক্ষ্য ও আদর্শকে আমরা আমাদের জীবনের ধ্রুবতারা বিবেচনা করিয়া চলিতাম, তাহার কিছু কিছু আজ কাৰ্য্যে পরিণত দেখিতেছি । বাঙালী জাতি এত বাড়িয়াছে যে, দুই বৎসরের ভিতরও এই ক্রমিক বুদ্ধির সকল অঙ্গ সম্পূর্ণরূপে খতিয়ান করিয়া উঠিতে পারিলাম না । ইহা যারপর নাই আশাপ্রদ ও আনন্দের কথা । বাঙালী আজ এক উচ্চতর ধাপে অবস্থিত। এই ধাপের জন্ত জীবনের উচ্চতর আদর্শ ও লক্ষ্য আবশুক । আর সেই আদর্শ ও লক্ষ্য