পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8& নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন { ه د ) তবে কি বিদেশে লেখাপড়া শিখিবার কোনো দরকার নাই ?— খুবই আছে । নতুন নতুন বিদ্যা এবং বিদ্যার শাখা-প্রশাখা দখল করিতে হইলে বিদেশে আসিতেই হইবে । তাহা ছাড়া যে সকল বিদ্যা ভারতেই দখল করা সম্ভব সেই বিষয়েও অনেক “নতুন কিছু” বিদেশে আছে, তাহার জন্তও যথা সময়ে" বিদেশে আসা আবশু্যক । “বাঘা-বাঘা" অধ্যাপক বিদেশের নানা সহরে আছেন অনেক । “বাঘা-বাঘা” কাহাকে বলে ? তাহার প্রত্যেকে দশ, বিশ, পচিশ, পঞ্চাশ, শ’, দেড়শ’ তরণ-তরুণীকে একসঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে “রিসার্চ", অনুসন্ধান, গবেষণা, আবিষ্কার ইত্যাদির কাজে মোতায়েন রাখিতে সমথ । এত ভিন্ন ভিন্ন দিকে মাথা খেলানো যে-সে লোকের পক্ষে সম্ভব নয় । লড়াইয়ের মাঠে বড় বড় সেনাপতি বা নো-নায়কের যে দায়িত্ব বিদ্যার লাইনে “বাঘা-বাঘi"দের সেই দায়িত্ব,—থানিকটা ঐরূপই বুঝিতে হইবে । আর এক কথা, "বাঘা-বাঘা"র সপ্তাহে সপ্তাহে এবং মাসে মাসে নতুন নতুন অনুসন্ধান চালাইতে চালাইতে পাকিয়া উঠিয়াছেন । প্রত্যেক সপ্তাহের এবং প্রত্যেক মাসের কাজ ও চিন্তাগুলা লইয়া অন্তান্ত সমকক্ষ পণ্ডিতদের সঙ্গে তর্কদ্বন্দ্ব চালানো তাহাদের জীবনের আসল অভিজ্ঞতা । খোলা মাঠের সমালোচনা হজম করিয়া করিয়া, প্রতিদ্বন্দ্বীকে পাচ-ঘা লাগাইয়া এবং প্রতিদ্বন্দ্বীর ভরফ হইতে সাত ঘুসা খাইয় তাহারা মজবুত হইয়াছেন । এই ধরণের “বাঘা-বাঘা" পণ্ডিত ভারতে কয়জন আছেন ? গুণিতে মুরু করিলেই দেখিব যে, যুবক-ভারতকে বিস্কার লাইনে পাকাইয়া তুলিতে হইলে একমাত্র ভারতীয় বিদ্যাপীঠের উপর নির্ভর করিলে চলিবে না।