“আমার নাম ১৯০৫ সন,— আমার নাম যুবক এশিয়া" * এই এলাহি কারখানার ভিতর আমি যদি একটা বেয়ারা বেফাঁস কথা বলে ফেলি তা হলে কিছু মনে করবেন না। স্বভাব বদলান কঠিন । তারপর ভাষার উপর জোর রাখা আরো কঠিন। অশুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে গিয়ে যদি দোষের কিছু হয় ভাববেন না আমি দূষণীয় কিছু বলছি । কৃতজ্ঞতা-অকৃতজ্ঞতার বাইরে আপনারা আমাকে যা শুনালেন এজন্য যদি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি তাহলে হয়ত মনে করবেন লোকটা কি বেয়াক্কেল,—যা কিছু প্রশংসা হল সব বেমালুম কোং করে গিলে ফেলে। আর যদি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করি তাহলে মনে করবেন লোকটা নিমকহারাম । এই অবস্থায় আমি শুধু বলতে চাই যে, কৃতজ্ঞতা আর অকৃতজ্ঞতা নামক যে বস্তু তার বাহিরে জামি রয়েছি। লড়াইএর যুগে একখানা জাৰ্ম্মাণ বই দুনিয়ায় নামজাদ হয়েছিল । তার ইংরেজি নাম “বেঅণ্ড গুড, অ্যাণ্ড ঈভ ল” । লেখক নীটশে । “ভাল আর মন, এ দুইএর বাইরে" একটা জিনিস যদি কল্পনা
- বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ কর্তৃক অনুষ্ঠিত ( ১৮ এপ্রিল, ১৯২৭) সম্বর্জনার উত্তরে প্রদত্ত বক্তভার সারমর্ম। শর্টহাও লইয়াছিলেন ঐযুক্ত ইজকুমার চৌধুরী। পরিশিষ্ট ২ স্ৰষ্টব্য )।