বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৫০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3\Oo নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন কি দেড়শ দুশ বৎসর আগেকার বাঙালীরাও যে সকল মন্দির-দেউলইমারত খাড়া করে গেছে, সে সব এখন পৰ্য্যন্ত আজও পরাক্রমের প্রতিমূৰ্ত্তিরূপেই দাড়িয়ে আছে । সে সব যারা দেখবে তারা কখনো ভাবতে পারবে না যে, সপ্তদশ অষ্টদশ শতাব্দীর বাঙ্গালী বাস্তশিল্পীরা যে সকল সৌধ কায়েম করে গেছে, সেকালের জাম্মাণরা তার চেয়ে বেশী কিছু করেছিল। সেকালের ভারতসন্তান, সেকালের হিন্দুজাতি সমসাময়িক ছনিয়ায় অন্ত কোনো জাতের চেয়ে শভিযোগে, সাংসারিক জ্ঞানে, বৈষয়িক সাধনায় কম ওস্তাদ এরূপ বুঝে রাখা বিজ্ঞান-রাজ্যের একটা চরম অসত্য । ভারতবাসা যে অলস জাতি, নাদোশনোদোশ, গোলগাল অথবা পৃথিবীর মত গোলাকার আর অন্যান্য জাতি যে আমাদের চেয়ে কৰ্ম্মঠ ইত্যাদি ধারণা মিথ্যা, কুসংস্কার মাত্র । গোটা বাঙ্গলীজাতির বিশ্বপৰ্য্যটন বিদেশে আমি যা করেছি তা বোধ হয় কোনো বাঙ্গালীকে না বলে না জানিয়ে করিনি । আমি এক সঙ্গে ৩৪৷৫৭ হাজার বাঙ্গালীকে আমার সঙ্গে সঙ্গে টেনে নিয়ে গিয়েছি । লেখালেখির মারফৎ গোট। বাঙ্গালী জাতিটাকে, চেষ্টা করেছি দুনিয়া টহল করাতে । সকলেই জানেন,—ঠিক যেন সিনেমার সাহায্যে দেখিয়েছি “ওরে এই দ্যাখ, এখানে খৃষ্টিয়ানদের মা-মেরীর মন্দির। ভবিষ্যতের চিন্তায়, পরলোকের চিন্তায় লাখ লাখ ইয়োরামেরিকান নরনারী মসগুল । ওদিকে লোক পড়ে রয়েছে মেরীর কাছে ধৰণা দিয়ে, হাটু গেড়ে রয়েছে, কোথাও বা ভিখারীরা ধৰ্ম্মের আওতায় দু পয়সা এক পয়সা করছে। এই দ্যাখ, মন্দিরের এখানে ওখানে হাজার হাজার ভক্তিমান নরনারীর নিদর্শন থাকে থাকে সাজানো রয়েছে। অমুক লোক মানত করেছিল যে,