পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৫০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার নাম যুবক এশিয়া 8ԾԳ অনেক শ্রেণী দেখতে পেয়েছি যারা টাকা ছোয় না নোট অস্পৃশু বিবেচনা করে, জামা পরে না, যদি বা পরে এমন কাটাওয়ালা চট যা গাযে ঘসে’ ঘসে পালিশ করতে হয় । অর্থাৎ কষ্ট স্বীকাব, কৃচ্ছ, সাধনা বল্পে যা বুঝায় তা ভারতীয় হিন্দু-মুসলমানের একচেটিয়। জিনিষ নয় । ছনিয়া সম্বন্ধে এই সব তত্ত্ব ঘরে-বাইরে সর্বত্রই প্রচাব করে আসছি । জুনিয়াকে ঘাড়ে করে ভারতে হাজির ছেলে বেলায় গল্প শুনতাম, হল্পমান যপন লঙ্কায় “েল আম থেয়ে আঁটিগুলি ছুড়ে দিয়েছিল মালদহের দিকে, সেই জন্যই মালদহের আম নাকি বিখ্যাত মৃধ পাল । বিদ্যাবুদ্ধি কিছু থাকুক না থাকুক, ভারতপর্ষকে ঘাড়ে করে ইঘোরামেরিকা-মিশব-জাপান-চীনে ঘুরেছি। এখন ছনিয়াকে ঘাড়ে করে’ হয়েছি ভারতে হাজির ৷ ইতিমধ্যে বিদেশে থাকতে থাকতেই ফ্রান্সের এক টুকরা, জাপানের এক টুকরা, জাৰ্ম্মাণির এক টুকরা ভারতের এখানে ওখানে ছড়য়ে দিয়েছি । পড়েছে গিয়ে কোনোট মাদ্রাজে, কোনোটা হরিদ্ধারে, কোনোটা পুণীতে, কোনোটা বা কলিকাতায় । এই ভাবে নানা জায়গায় নানা জিনিষ ছিটুকে পড়ছে । পূৰ্ব্ববঙ্গের ভাষায় যাকে বলে “আথালি পাথালি”—একদম বিশৃঙ্খল ভাবে দিক্‌বিদিক্‌ জ্ঞানশূন্ত হয়ে দুনিয়াব রকমারি অামের অঁাটি ভারতে ছুড়ে ফেলেছি। অনেকে বলেন এতে ফল হয় না, হবে না । কিন্তু কোনো ফল ফলেছে কিনা তা বলতে পারে বোধ হয় আজকালকার যুবক ভারতের কৰ্ম্মবীরেরা আর চিস্তাবীরেরা । এরা যদি কথনে আত্মজীবন-চরিত লিখে? নিজ নিজ ব্যক্তিত্বগঠনের মশলা গুলা বিনা মোজামিলে বিবৃত করতে চেষ্টা করে, তাহলে হয়ত এই বাঙালী হস্তমানের আথালি-পাথালি অ টিছোড়ার ফলাফল কিছু কিছু জানা যেতে পারে। থাক সে কথা । অবশু