বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৫০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার নাম যুবক এশিয়া 8లిసా আমাকে জাপানী প্রতিষ্ঠানের বৃত্তান্তটা পাঠিয়েছে ।” আমরা ভারতবাসী অতিমাত্রায় বিনয়ী। মারাঠা পণ্ডিত কাৰ্ব্বেও অতিমাত্রায় বিনয়ের নিদর্শন দিয়েছেন এই রিপোটে । তার দশ বৎসর পর কার্বের একখানি চিঠি আসে আমার কাছে । আমি তখন ইতালীতে। তখনও ভারতবর্ষে ফিল্ব কিনা, অথবা কবে ফিরব - কিছু ঠিক ছিল না। তিনি লিগেছিলেন, “সম্প্রতি আমাদের এখানে তোমার বন্ধু, কাশীর শিবপ্রসাদ গুপ্ত এসেছিল । কথায় কথায় বেরিয়ে পড়ল, -- জাপানী মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তান্তটা এসেছিল আমার কাছে সেই বৎসর, যে বৎসর তোমরা তেজনে এক সঙ্গে জাপানে মোসাফিার করছিলে । এন দিনে জানতে পা গেল যে, তোমরা যে সব ভারতবাসীর কাছে রিপোর্টট পাঠিয়েচিলে তাদের ভিতর আমিও একজন ।" দেখা যাচ্ছে যে, দিক্‌বিদিক জ্ঞানশূন্ত হয়ে বিদেশী আমের মাটিগুল “আথালি-পাথালি” দেশের নানা ধাটিতে পাঠাতে থাকলে অনেক সময়ে বড় বড় কাজের গোড়াপত্তনে অথবা বিকাশ-সাধনেও অনেক-কিছু সাহায্য করা সম্ভব । আনাড়ি হল্পমান অথব; নেহাৎ চিনির বলদও এষ্ট উপায়ে দেশের কাজ কিছু কিছু করিতে পারে । এই ধরণের বিদেশী অণটির অদ্যান্য ফল – যুবক ভারতের কত জায়গা কত কি করেছে তার হিসাব অবগু আমার জানা নাই । মারাঠা মুল্লুকের কাহিনীটা দৈবক্রমে মাত্র কাণে এসেছে । বৰ্ত্তমান যুগের “বৃহত্তর ভারত” প্রতিষ্ঠা আপনার বলছেন, আজ আমি ফিরে এসেছি ; আমি জানি যে, “ফিরে” এসেছি কথাটা ঠিক নয়। এই পৌনে বার বৎসরের একটা দিনও আমি বাংলা দেশের বাইরে ছিলাম না । এই যুগটার প্রতিদিন