বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ઉ૭ ) (৫) শুক্রনীতি ( সংস্কৃত গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ, ৩০৬ পৃষ্ঠা, ১৯১৩, এলাহাবাদের পাণিনি অফিস হইতে প্রকাশিত ) ৷ (৬) দি পজিটিভ ব্যাকগ্রাউণ্ড সব হিন্দু সোসিঅলজি ( হিন্দু-সমাজ জীবনের বাস্তবভিত্তি ) প্রথম খণ্ড, অ-রাষ্ট্রীয় ( ৩৯৩ পৃষ্ঠা ১৯১৪, প্রকাশক পাণিনি আফিস ) । ডকটর স্তার ব্রজেন্দ্র নাথ শীল লিখিত কতিপয় প্রবন্ধ এই গ্রন্থের পরিশিষ্ট স্বরূপ প্রথম প্রকাশিত হইয়াছিল । প্রাচ্য-পাশ্চাত্য সমস্যা

  • নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন” গ্রন্থের অন্ততম আলোচ্য বিষয় প্রাচ্যপাশ্চাত্য সমস্তা। এই গ্রন্থে এই বিষয়ে যে সকল মত প্রচার করা হইয়াছে তাহার পশ্চাতে একটা ক্রম-বিকাশের ধারা আছে। বোম্বাইয়ের “ইণ্ডিয়ান ডেলি মেল” কাগজের মোলাকাতে ( ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯২৫ ) বিনয়বাবু এই চিন্তা-ধারার কথা উল্লেখ করিয়াছেন। "গ্ৰীটিংস টু ইয়ং ইণ্ডিয়া” গ্রন্থের প্রথম অধ্যায়ে সেই কথোপকথন উদ্ধত হইয়াছে । তাহা হইতে নিম্নের অংশ উদ্ধত করিতেছি ।

গ্রন্থকার বলিতেছেন :– “কি প্রাচ্য কি পাশ্চাত্য অন্তান্ত সকল লোকের মতনই, আমিও— যখন জীবন সুরু করি তখন, প্রাচ্যের আদশকে পাশ্চাত্যের আদর্শ হইতে পুরাপুরি পৃথকৃরূপে স্বতঃসিদ্ধের মতন স্বীকার করিয়া লইয়াছিলাম। এই স্বতঃসিদ্ধ কতটা টেকসই ও যুক্তিপূর্ণ তাহা স্বাধীন ভাবে যাচাই করিয়া দেখি নাই। কিন্তু পরে দুনিয়ার সভ্যতার গতি ও গড়ন সম্বন্ধে খুটিনাটি বিশ্লেষণ করিবার ফলে এই মত বদলাইতে বাধ্য হইয়াছি। যুগের পর যুগ ধরিয়া জীবন-যাত্রার দফায় দফায় গভীরতর আলোচনা করিতে করিতে বুঝিতে পারিয়াছি যে, কোনো কোনো বিষয়ে সপ্তদশ