বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २. ) ফিরিবার পর লেখা হইয়াছে। অন্তান্তগুলা ১৯২৫ সনের সেপ্টেম্বর মাসের পূর্ববৰ্ত্তী । এই ভূমিকা গুলার সঙ্গে বর্তমান গ্রন্থের প্রধান প্রধান বক্তব্য সমূহের আত্মিক যোগ আছে বলিয়া সেই সমুদয় পুনমুদ্রিত করা হইল । অধিকন্তু কয়েকখানা বই বাজারে আর পাওয়া যায় না। “বিদেশ-ফের্তার অত্যাচার” প্রবন্ধ ইতালিতে লেখা হইয়াছিল । ইহাই গ্রন্থকারের প্রথম বারকার প্রবাস-জীবনের শেষ বাঙ্গলা রচনা ( ১৯২৫ সনের মাঝামাঝি । অবশিষ্ট রচনা গুলার সন তারিখ যথাস্থানে লেখা আছে। ১৯২৫ সনের সেপ্টেম্বর হইতে আজ পয্যন্ত বিনয়বাবুর সঙ্গে বোম্বাই, এলাহাবাদ ও কলিকাতার বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিনিধির সঙ্গে নানা প্রকার কথাবার্তা অনুষ্ঠিত হইয়াছে । এই গুলার সবই ইংরেজিতে প্রকাশিত। তাহা ছাড়া নানা প্রতিষ্ঠানে তাহাকে নানা উপলক্ষ্যে ইংরেজিতে বক্ততা করিতে হইয়াছে। এই সকল ইংরেজি কথাবার্তা ও বক্ততার বেশী-কিছু বর্তমান গ্রন্থের জন্য অনুদিত হয় নাই। “গ্ৰীটিংস টু ইয়ং ইণ্ডিয়" ( যুবক ভারতের নিকট সম্ভাষণ ) নামক ইংরেজিগ্রন্থে ( কলিকাতা, ১৯২৭) তাহার কিছু কিছু প্রকাশিত হইয়াছে। বিদেশে দুইবারে চোদ্দ বৎসর বিনয় বাবু প্রথমবার ভারতবর্ষ ত্যাগ করেন ১৯১৪ সনের ৮ই এপ্রিল তারিখে। প্রায় সাড়ে এগার বৎসর পর ৯২৫ সনের ১৮ই সেপ্টেম্বর তারিখে তিনি বোম্বাই সফরে পদার্পণ করেন। দ্বিতীয় বার * ভারতবর্ষ ত্যাগ করেন কলম্বোয় ১৯২৯ সনের ১৩ই মে,—ফিরিয়া আসেন বোম্বাইয়ে ১৯৩১ সনের ২-এ অক্টোবর । দুই বারকার সমবেত চোদ বৎসরের প্রবাস-জীবনের সঙ্গে তাহার সাহিত্য-চৰ্চা মুজড়িত ।