বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়া বাঙ্গলার গোড়া-পত্তন سb পাশ্চাত্য সভ্যতা মরিতে বসিয়াছে কি ? এই সভ্যতার আবহাওয়ায় যে সকল নরনারী চলা ফেরা করিতেছে, তাহাদের সঙ্গে ভারতীয় নরনারী টক্কর দিতে পরিবে কি ? আর তাহদের শিক্ষা-প্রণালীতে ছ’চার দশটা দোষ যদি থাকেই, তাহা হইলে সে সব লইয়া আমরা ভারতে ইয়োরমেরিকার কুৎসা রটাইতে ঝু কিয়াছি কিসের জোরে ? “স পাপিষ্ঠ স্ততোহধিকঃ” সেই লোকগুলা নয় কি, যাহারা রাস্তায় রাস্তায় বলিয়া বেড়াইতেছে —“ইয়োরামেরিকা মরিয়াছে । এইবার দুনিয়ায় গুরুগিরি করিবে ভারতের নরনারী ?” যে জগতের অভিজ্ঞতায় এবং জীবনযাত্রায় ১৮৭০ সনই এখনো আসে নাই, সে জাত ১৯২৫ সনের দুনিয়ার উপর ওস্তাদি চালে সমালোচক সাজিতে অগ্রসর হয় কোন সাহসে ? জীবনবত্তার জরীপ করা যাউক অার এক দিক হইতে । ইয়েরামেরিকার ইস্কুল-কলেজের অধ্যাপকেরা নিজ নিজ বিদ্যার ক্ষেত্রে অনুসন্ধান-গবেষণা ইত্যাদি চালাইয়া থাকেন। একথা আমাদের অজানা নাই । বিদ্যার সীমানা বাড়াইবার আয়োজন ঐ সকল দেশে দিন দিন বাড়িয়া গিয়াছে। তাহার প্রভাবে একমাত্র পাশ্চাত্য নরনারীর জীবনই বদলাইয়। যাইতেছে এমন নয়। এশিয়ায় আমরাও পশ্চিমা আবিষ্কারের আওতায় পড়িয়া নান উপায়ে জীবনীশক্তি বাড়াইয়া তুলিতে অভ্যস্ত হইয়াছি । ১৯১৯-২০ সনের যুগে পশ্চিমা লোকের জ্ঞান-বিজ্ঞানের চৌহদি বাড়াইয়া দিবার জন্ত তুমুল আন্দোলন স্থর করিয়াছে। দুজন চারজন বা দশবিশজন নামজাদা করিৎকৰ্ম্ম বিজ্ঞান-বীরের স্বাধীন খেয়ালের উপর ইয়োরামেরিকার আবিষ্কার-শক্তি আর নির্ভর করিতেছে না । ইস্কুল কলেজে এই সকল অনুসন্ধান-কার্য্যে সাহায্য করিবার জন্ত কর্তৃপক্ষের তরফ হইতে বহুবিধ সুযোগ স্থঃ করা হইয়াছে । জাৰ্ম্মাণি, ফ্রান্স, ইংল্যাণ্ড, 4