বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাঙ্ক-গঠন ও দেশোল্পতি চলিয়া থাকে। যে জাতের মধ্যে ব্যাঙ্ক নাই, বুঝিতে হইবে তাহার নরনারীর ভিতর পরম্পর বিশ্বাস, আস্থা জিনিসটাও নাই ; সে জাতের লোক কখনও কেউ কাউকে বিশ্বাস করিতে পারে না । থাৰ্ম্মোমেটার যেমন তাপের মাত্রা কতখানি বলিয়া দিবে, ব্যারোমেটার যেমন হাওয়ার চাপের পরিমাণ বলিয়া দিবে—আকাশ জরীপ করিবার প্রয়োজন হইবে না, ব্যাঙ্কও তেমি একটা জাতের নৈতিক দৌড় কতদূর সহজেই বলিয়া দিবে। টকা-পয়সা বিনিময়ের বিশ্বাস যে জাতটার মধ্যে নাই, আধ্যাত্মিক হিসাবে সে জাতটা অধঃপতিত । ইহা অতি সোজা কথা । বৰ্ত্তমান ভারতের ব্যাঙ্ক-প্রতিষ্ঠান যদিও ইংরেজ, ফরাসী, জাৰ্ম্মাণ, ইতালিয়ান সকলের কথাই আজ আপনাদিগকে কিছু কিছু বলিব, কিন্তু আমার প্রধান আলোচ্য বিষয় হইতেছে আমার দেশ । এ দেশটা কোন অবস্থায় আছে ? অন্তান্ত জাতের সমকক্ষ হইতে ইহার কতদিন লাগিবে ? বাংলায় ব্যাঙ্ক-গঠন কোন অবস্থায় আসিয়া দাড়াইয়াছে ? আবার কিছু কিছু অঙ্কগুলার শরণাপন্ন হইতে হইবে । প্রথমতঃ, এক রকম ব্যাঙ্ক যাহা আমাদের দেশে পায় পাচ সাত শত বছর ধরিয়া চলিয়া আসিতেছে। ঐ যাহাকে বলে কিনা হুণ্ডি ব্যাঙ্ক । পুজিপতির নিকট যত টাকা আছে, প্রধানতঃ তাহা দিয়া নিজে নিজে কারবার চালানো সম্ভব । হুশুি-ব্যাঙ্কের কাজ এই শ্রেণীর ব্যক্তিগত কাজ। পরের টাকা ধার লওয়া হয় না, পরকে টাকা ধার দেওয়াই প্রায় একমাত্র ব্যবসা । এই সব ব্যাঙ্ক সমস্তই ভারত-সন্তানের হাতে । দ্বিতীয় রকম ব্যাঙ্ক যাহ। কিনা বিদেশীদের হাতে। পরের টাকা ধার ল ওয়া হয় । এই ধার লওয়া টাকা আবার অন্তকে ধার দেওয়া ও হয় ।