পাতা:নলিনী-ভূষণ নাটক.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নলিনী-ভুষণ । 唱檀 ভূষ। আঞ্জে-আমি “ বিষয়কৰ্ম্ম নাই ? বলিনে, “ কোথা ও কণযকৰ্ম্ম করিনে ’ অর্থাৎ, চাকুরী করিনে, বল্যেম। কাজী। আইনৃমতে এদুয়ের একই অর্থ। বিশেষতঃ বাঙ্গালীর চাকুরী ভিন্ন আর বিষয়কৰ্ম্ম কি আছে ? এক্ষণে তুমি স্বহস্তে বিশজন, অর্থাৎ, এককুড়ী—অর্থাৎ, পনের জন ও পাচজন পবিত্র মুসলমান দেহে অস্ত্রাঘাত করত তাহদের প্রাণ নাশ করিয়াছ ; বিচারমন্দির তোমার প্রতি নরহত্যার— অর্থাৎ, মানুষ মারার— অর্থাৎ, খুন্‌ করার অভিযোগ করিতেছে ; তুমি দোষী, কি না ? ভুষ । ধৰ্ম্মাবতার—আমি তার কিছুই জানিনে । কাজী। জাননাতো তোমার পায়ে দাগ কিসের ? ভূষ। ও পোড়ার দাগ । কাজী। তুমি বাজে কথা কও কেন ? অামি কিছু কাট। পোড়ার বিচার কত্তে বসিনে । আমি ডাকাতির মাম্লায় বসেছি— তুমি তারই উত্তর দাও । ভুষ । আমি তো ডাকাতি করিনে, হজুর ! কাজী । ( কারাধ্যক্ষের প্রতি) সাক্ষী ডাক । কারণ । ম—দ—ৎ—উল্লা—সাক্ষী—হাজীর ! ( এক জন প্রহরী কর্তৃক সাক্ষীর ঘাড় ধরিয়া শূন্যে লইয়। যাওন ।) সাক্ষী। ওরে । বাবা রে! গেলুম রে! ওরে! আমি সাক্ষীরে— ওরে ; আমি ডাকাত নই রে ! (কাজীর সম্মুখে গলবস্ত্রে সাক্ষর প্রবেশ।) কাজী । তুমি কি একে ডাকাতি কত্তে দেখেছ ? সাক্ষী । আজ্ঞ ইণ। কাজী । ঐ কি একলাই সবাইকে খুন করেছিল ? সাক্ষী। ওর যে বল হুজুর, তা আর কি ব’লবো ! ও একলাই সবাইকে কাটে। তখন ওর ইকুই বা কি –যেন সের ইাকুরাচে । আর তিনতলা সমান এক একটা লাফ মারচে। খোদাবক্স নাকি