বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নলিনী-ভূষণ নাটক.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নলিনী-ভুষণ । եք : নয়। কিন্তু তার পূৰ্ব্বে সেই দেবমূর্তি এক মুহূর্তের জন্য দর্শন— চোকের দেখা মাত্ৰ –হায় ! পাপ যবননি বাসেও কি আশাদেবীর গতিবিধি আছে ? হ্রাশ ! তুমিই ধন্য ! যেখানে যম যেতে কম্পিত হয় সেথানেও তোমার গতায়াত অাছে ? ( আমীনার প্রবেশ।) তোমার যে অণজ আসতে এত বেলা গেল ? তোমার দেখেও অামার চিত্ত কতকটা সুস্থির হয় । এ নিৰ্ব্বান্ধব পুরীতে যে কেউ দুটে মিষ্ট কথা বলে এমন লোক নাই। দিবসে কাকের শব্দ, রাত্রে পেচক ও শৃগালের ভয়ঙ্কর চীৎকার! প্রতিদ্বনি বিনা অামার কথার অপর কে উত্তর দেবে ? অামী । ( সজল নয়নে) যে অভাগী এখানে আসে তারই এই দশ ! নলি । আচ্ছ ভাই, তুমি আমায় এত স্নেহযত্ন কর ; কিন্তু এক দিনের তরেও তো অামার নিস্তারের কোন উপায় ক’ল্যে না ? অামী । ( দীর্ঘনিশ্বাস সহকারে ) এখানকার অধিবাসীদের যে ইহকাল পরকালে নিস্তার নাই তা কি তুমি জান না ? কিন্তু তোমার এখনও একটু উপায় অাছে, তা তুমি পারবে না । নলি ! ব’লেই দেখ, পারি না পারি সে পরের কথা । অামী। (ছুরিক দর্শন) পাবে ? নলি ৷ ইণ,—অনায়াসে ! আমী । কি পারবে বল দেখি ? নলি । পামর যবনের বক্ষ বিদারণ ক’ত্তে । অামী । না, অগত্ব হত্যশ । নলি। নাপাৰ্য্যমাণে তাই ; কিন্তু যবন জীবিত থাকৃতে ত৷ ভাল হয় না । অামী । তবে আর আমার হাত নাই ।