রাত্রিকালে আহারের পর প্রভাত তক্তপোষের উপর হইতে আপনার শয্যা নামাইল। নবীনচন্দ্র জিজ্ঞাসা করিলেন, “শয্যা নামাইতেছিস্ কেন?”
প্রভাত উত্তর করিল, “আপনার শয্যা রচনা করিব।”
“আর তুই?”
“আমি নিম্নে শয়ন করিব।”
“কেন? আমি নিম্নে শয়ন করিলে কি ক্ষতি হইত?”
তিনি প্রভাতকে নিম্নে শয়ন করিতে দিবেন না; প্রভাতও তাঁহাকে নিম্নে শয়ন করিতে দিবে না। শেষে টেবল ও চেয়ার তক্তপোষের উপর স্থানান্তরিত করিয়া হর্ম্ম্যতলেই উভয়ের শয্যা রচিত হইল।
নবীনচন্দ্র বলিলেন, “এখন বল, এ বিবাহ সম্বন্ধে তোর মত কি?”
প্রভাতকে নিরুত্তর দেখিয়া তিনি পুনরায় বলিলেন, “আমি বড় মুখ করিয়া আসিয়াছি, তোর মত জানিয়া যাইব। ভাবিয়াছি, তুই আমাকে কিছু গোপন করিবি না।”
এবার প্রভাত বলিল, “বাবার যাহাতে অমত, আমি সে কায কখনই করিব না।”
নবীনচন্দ্র সস্নেহে প্রভাতের গায়ে হাত বুলাইয়া বলিলেন, “পাগল ছেলে, বাপমা’র সবই ত ছেলের সুখের জন্য। তাঁহার মতের ভাব আমার রহিল। তুই তোর প্রকৃত মনোভাব আমাকে বলিবি না?”
৫৬