বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8\98 নানা চৰ্চা হওয়া যেমন সহজ, জাৰ্ম্মণদের পক্ষেও ধ’রে নেওয়া যেতে পারে, দার্শনিক হওয়া তেমনি সহজ । একাধারে যিনি বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক, র্তার কথা মন দিয়ে শোনা উচিত। পুরাকালে ভারতবর্ষে বৈদান্তিকরা যখন বলেন যে, “আথাতো ব্ৰহ্মজিজ্ঞাসা”, তখন মীমাংসকেরা উত্তরে বলেন, এ জিজ্ঞাসার প্রয়োজন কি ? ব্ৰহ্ম যদি থাকেন ত এত বড় সত্য সম্বন্ধে কার জ্ঞান নেই ? দ্বিতীয়তঃ e জিজ্ঞাসার ফলই বা কি ? মানুষের কৰ্ম্ম-জীবনের উপর এ জ্ঞানের ফল কি ? এ যুগেও তেমনি যুরোপের কৰ্ম্মীর দল, “য়ুরোপীয় সভ্যতা বস্তু কি ?-” এ প্রশ্ন শুনে এ কথা বলতে পারেন যে, য়ুরোপীয় সভ্যতা ব’লে যদি কোন বস্তু থাকে ত, সেই প্ৰকাণ্ড জল-জ্যান্ত সত্যের প্রতি কে অন্ধ ? আর তার গুঢ় মৰ্ম্ম জেনেই বা কার কি লাভ ? এ দার্শনিক বা বৈজ্ঞানিক জ্ঞান আমাদের কৰ্ম্মজীবনের কি ইতারবিশেষ করবে ? আর যদি জনসাধারণের কথা বল ত, এ জ্ঞান লাভ করায় তাদের কি লাভ ? তারা তা যুরোপীয় সভ্যতার ফলভোগী মাত্র। হিন্দুস্থানীরা বলে, “আম খাও, পেড় মত খোজ” ; উক্ত উপদেশ অনুসারে তাদের যুরোপীয় সভ্যতার স্বরূপ জানিবার ও মূল অনুসন্ধান করবার কোনই প্রয়োজন নেই। “যো আপসে আতা উসকো আনে দেও” বলেই নিশ্চিন্ত থাকা তাদের পক্ষে স্বাভাবিক। অতএব জিজ্ঞাসা যে নিস্ফল, এ আপত্তি চারিধার থেকে উঠবে। এ আপত্তির খণ্ডন না ক’রে কোনও দার্শনিক অগ্রসর হতে পারেন না । সেকালে শঙ্করও পারেন নি, af Haas S ofte fè