পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R8 नञ। 56।। পাশাপাশি বাস করছে। কাশ্মীরে অবশ্য হিন্দুধৰ্ম্ম ও মুসলমান ধৰ্ম্ম পাশাপাশি বাস করছে, কিন্তু এই দুই ধৰ্ম্ম পরস্পরের অস্পৃশ্য, ফলে উভয় ধৰ্ম্মই নিজের স্বাতন্ত্র্য সম্পূর্ণ রক্ষা করে চলেছে। অপরপক্ষে নেপালের বৌদ্ধধৰ্ম্মকে হিন্দুধৰ্ম্মের বিকার অথবা নেপালের হিন্দুধৰ্ম্মকে বৌদ্ধধৰ্ম্মের বিকার বললেও অত্যুক্তি হয় না। সিকিম, ভুটানের সংস্রব আসলে বাঙলা দেশের সঙ্গে। শুনতে পাই, বাঙলার লোকের দেহে চীনের রক্ত আছে । সেই সঙ্গে বাঙালীর মনেও কিঞ্চিৎ চৈনিক ধৰ্ম্ম আছে কিনা বলতে পারিনে । দেশের পণ্ডিত লোক সব আজকাল বেদের পুনরুদ্ধারের জন্য ভারতবর্ষের উত্তরপশ্চিম দেশে মহা খোড়াখুড়ি আরম্ভ করেছেন। বেদ উদ্ধারের পর আমাদের পণ্ডিতরা যদি তন্ত্রের সন্ধানে বেরন, তাহলে আমার বিশ্বাস তাদের উত্তর-পশ্চিম দেশকে গজভুক্ত কপিাথবৎ ত্যাগ করে ভারতবর্ষের উত্তর-পূর্বে আসতে হবে। তখন research work-এর পীঠস্থান হবে প্ৰথমে ভূটান, পরে সিকিম। তন্ত্র-শস্ত্রের পুথি খুললেই পাতায় পাতায় মহাচীনের সাক্ষাৎ লাভ ঘটে। সে যাই হোক, ভারতবর্ষের পশ্চিমে ইরাণ ও উত্তরে তুরাণের মত তার পূর্বে মহাচীনকেও পুরাতত্ত্ববিৎ, ভাষাতত্ত্ববিৎ ও নৃতত্ত্ববিৎরা উপেক্ষা করতে পারেন না । সম্প্রতি অবগত হয়েছি যে, পণ্ডিতরা আজকাল Tarim দেশ নিয়েই উঠে পড়ে লেগেছেন। Tarim অবশ্য চীন সাম্রাজ্যের অন্তর্ভূত তুর্কস্থানে। সুতুরাং আশা করা যায় যে, তঁরা খোটান থেকে ভুটানে অচিরে নেবে পড়বেন। り