বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাভারত ও গীতা VgS করেছেন, তঁদের পক্ষে মুরারি কবির উক্তির পুনরুক্তি করবার লোভ সম্বরণ করা কঠিন । কাব্যের অন্তরঙ্গের সাধনা ও বহিরঙ্গের সেবা এ দুটি ক্রিয়ার ভিতর যে শুধু প্ৰভেদ আছে তাই নয় ; এর একটি প্ৰযত্ন অপরটির অন্তরায় । কাব্যের ভিতর থেকে ইতিহাস উদ্ধার করতে বসলে দেখা যায় যে, তার কাব্যরস শুকিয়ে এসেছে আর তার ভিতর নিমজ্জিত ঐতিহাসিক উপলখণ্ড সব দন্তবিকাশ করে হেসে উঠেছে । আমাদের মত কাব্যরসিকরা কাব্যের সমগ্রীরূপ দেখেই মোহিত হই, অপরপক্ষে পণ্ডিতেরা কাব্যের রস জিনিষটিকে উপেক্ষা করেন-অন্ততঃ জাৰ্ম্মাণ পণ্ডিতেরা কাব্যের সম্মুখীন হ’বা মাত্র তাকে সম্বোধন করে বলেন :- “মাইরি রস ঘুরে ব’স, দাত দেখি তোর বয়েস কত” । afs at Scholarship তবে এ রকম ঐতিহাসিক কৌতুহল যখন মানুষের মনে একবার জেগেছে, তখন কাব্যের ঐ বহিরঙ্গ পয্যালোচনায় যোগ দেবার প্রবৃত্তি দমন করা অসম্ভব-বিশেষতঃ আধুনিক বিদ্বান ব্যক্তিদের পক্ষে। অন্যে পরে কী কথা,-মহাত্মা তিলক ও গীতার বহিরঙ্গ পৰ্য্যালোচনার মায়া কাটাতে পারেন নি। তিনি তার গীতাভাষ্যের পরিশিষ্টে অতি বিস্তৃত ভাবেই এই বাহবিচার করেছেন । এতে আমি মোটেই আশ্চৰ্য্য হইনি। এই পাশ্চাত্য পদ্ধতিতে শাস্ত্ৰ বিচারের এ দেশে রাজা ছিলেন ৬/রামকৃষ্ণ গোপাল ভাণ্ডারকর। আর মহাত্মা তিলক যে-পুরিকে পুণ্য