পাতা:নারী-চরিত - সৌদামিনী সিংহ.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ১৪ )

বৃদ্ধকালসুলভ নানা প্রকার পীড়া হইতে লাগিল। অবশেষে সময়ে সময়ে বক্ষঃস্থলে এক প্রকার বেদনা উপস্থিত হইয়া তাঁহাকে আরো জীর্ণ করিল। তখন তিনি আপন অন্তিমদশা জানিয়া ঈশ্বরের প্রতি আত্মসমর্পণ পূর্ব্বক অহর্নিশি ধর্ম্মচিন্তায় সময় যাপন করিতে লাগিলেন। তাঁহার পীড়া উত্তরোত্তর বৃদ্ধি হইতে লাগিল ও পরিশেষে ধর্ম্মপরায়ণ মহাত্মার ন্যায় অনন্ত শয্যায় শয়ন করিলেন। ১৮৩৩ খৃষ্টাব্দের ৭ ই সেপ্টেম্বর দিবসে তাঁহার মৃত্যু হইল।

 হানামুর আপন সুতীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও সৎকার্য্য প্রভাবে জাগতিক কামিনীগণ মধ্যে এক প্রধানা স্ত্রীলোক রূপে গণ্য হইয়াছিলেন। তিনি বাল্যাবস্থায় বহুবিধ যত্ন ও অধ্যবসায় সহকারে লেখা পড়া শিক্ষা করেন ও স্বজাতীয় ধর্ম্মের উন্নতি চেষ্টায় যাবজ্জীবন যাপন করেন। দেখ বিদ্যা কি চমৎকার পদার্থ! কেবল বিদ্যাপ্রভাবেই হানামুর কি ধনী, কি দীন, কি পণ্ডিত, কি সম্ভ্রান্ত সকল লোকেরই স্নেহের পাত্রী হইয়াছিলেন। ডাক্তর জনসন্‌ প্রভৃতি মহাত্মারা, তাঁহার বিদ্যা থাকাতেই কেবল এতাধিক সমাদর করিতেন। ধর্ম্মের প্রতি তাঁহার অতিশয় অনুরাগ ছিল, যাহাতে ধর্ম্মের গৌরব বৃদ্ধি হয় সেই জন্য নিয়ত ব্যস্ত থাকিতেন। দীন হীনদিগের জ্ঞানদান ও ধর্ম্মবিহীনদিগকে ধর্ম্মশিক্ষা দেওয়া, তাঁহার এক মাত্র কার্য্য ছিল। তিনি স্ত্রীলোক হইয়া