পাতা:নারী-চরিত - সৌদামিনী সিংহ.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ৬৩ )

প্রদান করিয়া প্রত্যাগত হন। তাঁহার বাক্‌পটুতা ও উপদেশ গুণে শ্রোতা মাত্রেই আশ্চর্য্যান্বিত হইয়াছিল।

 কি স্বদেশ কি বিদেশ সকল স্থানেই ফ্রাইয়ের সমাদরের ত্রুটি ছিল না। সকলেই তাঁহাকে এক অপূর্ব্ব স্ত্রীরত্ন বোধ করিয়া যথোচিত ভক্তি করিত। ইউরোপ খণ্ডে এমন কোন জনপদ ছিল না, যে তিনি তথাকার কারাগারাদির কোন না কোন রূপ উন্নতি সাধন করেন নাই। তাঁহার সুমধুর উপদেশ শ্রবণে সমস্ত কারাবাসিরা শিক্ষিত, বিনীত ও ধর্ম্মপরায়ণ হইয়া নিয়ত ধর্ম্মপুস্তক অধ্যয়নে রত হইয়াছিল।

 ১৮২৮ খৃষ্টাব্দে বিবি ফ্রাই মহাক্লেশে পতিত হন। ঋণগ্রস্ত হওয়াতে তাঁহার স্বামীর বাণিজ্য কার্য্য স্থগিত হয় এবং তাহাতে আবাসবাটী পর্যন্ত বিক্রীত হইয়া যায়। ফ্রাই আজন্ম সুখ সম্ভোগে কালহরণ করিতেন, কখন কোন দুঃখ সহ্য করেন নাই, সুতরাং উপস্থিত দুঃখ তাঁহাকে যৎপরোনাস্তি কষ্ট দিতে লাগিল। তখন কি করেন; অগত্যা স্বামীর সহিত লণ্ডননগরে জেষ্ঠ পুত্রের বাটীতে গিয়া কিছু কালের জন্য অবস্থিতি করিলেন। দুঃখ, দুঃখের অনুবন্ধন করে। একে হতসর্ব্বস্ব হইয়া মহাক্লেশে কালযাপন করিতেছিলেন, তাহাতে আবার প্রাণ সংশয় পীড়া উপস্থিত হইয়া অধিকতর দুঃখ ঘটিল।

 এই সময়ে ফ্রাই, বৃদ্ধকাল সুলভ নানাবিধ পীড়াগ্রস্ত হওয়াতে ক্রমে ক্রমে তাঁহার শরীর দুর্ব্বল ও অবসন্ন