বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৭২ সালের ১ জাইন । ** * রাজা চতুর্থ উইলিয়মের রাঙ্গক্স সময়ের ও ৪৪ আইন, ৮৫ কে, গু৯ ধাঃ স্থিানানুসারে ভারতবর্ষের রাজৰ, আদালত ও যুদ্ধসম্বন্ধীয় সমুদায় কার্ষের ভার ও আধিপত্য গবর্ণর জেনেরল ও তাছার মন্ত্রিবর্গের উপর প্রদত্ত হইয়াছে। উক্ত আইনের ৪• ধারার বিধানে গবর্ণর জেনেরলের ৪ জন মন্ত্রী থাকার নিয়ম আছে । ৪৩ ধারানুসারে গবর্ণর জেনেরল সমস্ত ভারতবর্ষের জন্য আইন বিধিবদ্ধ করার ক্ষমতা প্রাপ্ত হন। ১৮৩৪ সাল হইতে মন্ত্রিসভাধিষ্ঠিত গবর্ণর জেনেরল মান্দ্রাজ, বম্বে প্রভৃতি সমুদায় প্রদেশের জন্য আইন প্রস্তুত করিতেন। ১৮৩৪ সালের পূৰ্ব্বে গবর্ণর জেনেরল কেবল বঙ্গদেশের আইন প্রকটন করতেন । মান্দ্রাজ ও বস্বে প্রদেশে স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র ব্যবস্থাপক সভা ছিল । ঐ ঐ প্রদেশের আইন কেবল ঐ ঐ প্রদেশেই চলিত। সুতরাং তিন প্রদেশে স্বতন্ত্র স্বত্তস্ত্র ও প্রস্তু আইন প্রচলিত ছিল । বঙ্গদেশের আইন ১৭৮০ সাল হইতে, মান্দ্রাজে ১৮৪২ সাল হইতে এবং বস্বে প্রদেশে ১৭৯৯ সাল হইতে আইন প্রকটনারম্ভ স্থয় । পরে ১৮৫৩ সালে ব্যবস্থাপক সভা সম্বন্ধে অনেক পরিবর্তন হইয়াছিল। পরে ১৮৬১ সালের “ ভারতবর্ষীয় মন্ত্রিসভার্ণবষয়ক আইন " দ্বারা ব্যবস্থা প্রণয়ন-প্রণালী পুনরায় পরিবর্তিত হইয়াছে। এই আইনে মান্দ্রজি ও বন্ধে প্রদেশের গবর্ণরদিগকে স্ব স্ব প্রদেশের জন্য ব্যবস্থা প্রণয়ন করার ক্ষমতা প্রদত্ত হইয়াছে। কিন্তু ঐ সকল ব্যবস্থা গবর্ণর জেনেরল কর্তৃক মঞ্জর না হইলে প্রচলিত হইবে না । ঐ আইনে এরূপ বিধান হইয়াছে যে, গবর্ণর জেনেরল বঙ্গদেশ, পঞ্জাব এবং উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের লেপটেনেণ্ট গবর্ণরদিগকে ব্যবস্থাপক সভা সংস্থাপন করত স্বীয় স্বীয় অধীন দেশের জন্য আইন করণের ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারবেন । ঐ বিধানের মৰ্মমত বঙ্গদেশে ১৮৬২ সালের ১৮ এ জানুয়ারি হইতে লেপটেনেণ্ট গবর্ণরের ব্যবস্থাপক সভা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে । (১) “ পব্‌লিক নোটরির মোহর ” • বাণিজ্য ব্যবসায়ে ও অন্যান্য কারবারে এক দেশের দলীল ও কাগজপত্র এবং বৃত্তান্ত দেশান্তরে সত্য বলিয়। সাব্যস্ত করার প্রয়োজন ছইয়। থাকে। যে কাৰ্য্যকারক স্বাক্ষর ও মোহরযুক্ত উপরোক্ত প্রকারের দলীল কাগজ-পত্র বা বৃত্তান্তের যাথার্থ প্রকাশ করেন জাহাকে “ পন্থলিক Lমাটারি ” বলে । যথা—ষ্ট৭লগুদেশের বন্দরে একখানা জাহাজের কোন