বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృతి নিদর্শনতত্ত্ব t অপেক্ষা সত্যবাক্য অনায়াসে বলিতে পারা যায় ; সত্য কথা কেবল স্মরণশক্তির প্রভাবেই বলা যায়, কিন্তু মিথ্যা বলিতে হইলে কল্পনা-শক্তির চালনা আবশ্যক। স্মরণ-শক্তির চালনা অপেক্ষ কল্পনা-শক্তির চালনা অপেক্ষাকৃত কঠিন ও আয়াস-সাধ্য, এবং অনায়াস-সাধ্য কৰ্ম্ম করাই মনুষ্য-প্রকৃতির ধৰ্ম্ম । দ্বিতীয় কারণকে তিনি সমাজনিষিদ্ধ কারণ কহেন । কোন ব্যক্তি লোকালয়ে মিথ্যাবাদী বলিয়া গণ্য হইতে চাহে না, সকল সমাজেই মিথ্যাবাদীর যারপরনাই অবমান না করা হইয়া থাকে। তৃতীয় কারণকে তিনি ধৰ্ম্মনিষিদ্ধ কারণ কহেন । ধৰ্ম্মতঃ প্রতিজ্ঞা পূর্বক বিচারালয়ে মিথ্য সাক্ষ্য দিলে ধৰ্ম্ম নষ্ট হয়, ও ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করা হয়, এ বিশ্বাস যে কোন ধৰ্ম্মাক্রান্ত লোক হউক না কেন, সকলেরই আছে। চতুর্থ কারণকে রাজনিষিদ্ধ কারণ বলা হইয়াছে। মিথ্য সাক্ষ্য অপরাধের নিমিত্ত রাজনিয়মে যে সকল দণ্ড অবধারিত হইয়াছে, সেই সকল দণ্ডের আশঙ্কা ইহার মূলীভূত। এসম্বন্ধে বেনথাম সাহেবের মূলগ্রন্থ অথবা, নর্টন সাহেবকৃত নিদশনতত্ত্বের ৪২ অধ্যায় পাঠ করিলে অনেক জানা যাইতে পারে । সাক্ষীর পরীক্ষ-প্রণালী ও তৎসম্পৰ্কীয় নিয়ম। যে পক্ষ সাক্ষী উপস্থিত করে, অগ্রে সাক্ষীকে প্রশ্ন করার অধিকার সেই পক্ষের ; এই পরীক্ষাকে প্রথম পরীক্ষা বলে । উত্তর প্রবর্তক প্রশ্ন অর্থাৎ যে প্রশ্নের উত্তরে হা, কিম্বা না, বলা হয় তাহ জিজ্ঞাসা করা সাধারণতঃ নিষিদ্ধ। সময় বিশেষে যখন কোন পক্ষের সাক্ষী তাহার বিরুদ্ধ বাদী