পাতা:নীল-দর্পণ.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S) 8 নীল-দৰ্পণ । সকলে ( তাহ ! আহা ! পাগল হয়েচেন ) সাবি। ( সৈরিন্ধীর প্রতি ) দাইবউ—ছেলে এক বার আমার কোনো দাও, তাপিত অঙ্গ শীতল করি, কত্তার নাম কর্যে খোকার মুখে একবার চুমো খাই (নবীনের মুখ চুম্বন ) সৈরি। মা ! আমি যে তোমার বড়বউ, মা দেখতে পাচ্চ না—তোমার প্রাণের রাম অচৈতন্য হয়ে পড়ে রয়েচেন, কথা কহিতে পাচ্যেন না। সাবি। ভাতের সময় কথা ফুট ব। আহা, ছা ! কত্ত। থাক্‌লে আজ কত আনন্দ,কত বাজনা বাজতো ( ক্ৰন্দন ) সৈরি। সৰ্ব্বনাশের উপর সর্বনাশ ঠাকুরুণ পাগল হলেন ? সর । দিদি ! জননীকে বিছানা ছাড়া করিয়া দাও, উপরে আমি শুশ্রীষা দ্বারা সুস্থ করি । সাবি। এমন চিটিও লিখেছিলে, এমন আহলাদের দিন বাজনা হলো না (চারি দিকে অবলোকন করিয়া সকলে গাত্রোথান পূর্বক সরলতার নিকটে গিয়া ) তোমার পায়ে পড়ি বিবি ঠাকৃরুণ ! আর এক খানি চিটি লিখে যমের বাড়ী থেকে কত্তারে ফিরে এনে দাও, তুমি সাহেবের বিবি ত{ নইলে আমি তোমার পায়ে ধৰ্ত্তাম । সর । মাগো ! তুমি আমাকে জননী অপেক্ষীও স্নেহ কদ, মা তোমার মুখে এখন কথা শুনে আমি যমযন্ত্রণা হইতে ও তাধিক যন্ত্রণ পাইলাম ! ( দুই হস্তে সাবীত্রীকে ধরিয়া ) মা ! তোমার এ দশা দেখে আমার অন্তঃকরণে অগ্নিবৃষ্টি হইতেছে । সাবি। খানকি বিটি, পাজি বিটি, মেলোচ্ছে বিটি, আমাকে একাদশীর দিন ছুয়ে ফেল্লি ( হস্ত ছাড়ায়ন । ) সর । মাগো ! আমি তোমার মুখে একথা শুনে আর পৃথিবীত্বে থাকিতে পারিনে (সাবিত্রীর পদদ্বয় ধারণ পূর্বক