বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নীল-দর্পণ.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্থ অঙ্ক ।

  1. দ্বিতীয় গর্তাঙ্ক ।

ইন্দ্রীবাদ, ৰিম মাধবের বাসাবাড়ী। (নবীনমাধব, বিন্দু মাধব এবং সাধুচরণ আলীন) নবীন। আমার কা েযকাযেই যাইতে হইল। এসংবাদ জননী শুনিবাগাত্র প্রাণত্যাগ করিবেন । বিন্দু! তোমারে অরি বলবে। কি, দেখ পিত! যেন কোনমতে ক্লেশ না পান । বাস পরিত্যাগ করা স্থির করিয়াছি, সৰ্ব্বস্ব বিক্রয় করিয়া আমি টাকা পাঠাইয়া দিব, যে যত টাকা চাহিবে তাহাকে তাছাই দিব । বিন্দু। জেলদারগা টাকার প্রয়াসী নহে, মাজিষ্ট্রেট সাহেবের ভয়ে পাচক ব্রাহ্মণ লইয়া যাইতে দিতেছে না। নবীন। টাকাও দেও মিনতিও কর । আহা ! বৃদ্ধ শরীর । তিন দিন অনাহার । এত বুঝাইলাম, এত মিনতি করিলাম — বলেন “নবীন ! তিনি দিন গত হইলে আহার করি না করি বিবেচনা করিব, তিন দিনের মধ্যে এ পাপ মুখে কিছু মাত্র দিব না ,, । বিন্দু। কি রূপে পিতার উদরে ছুটি অন্ন দিব তাহার কিছুই উপায় দেখিতেছি না । নীলকর ক্রীতদাস-মুঢ়মতিমাজিষ্ট্রেটের মুখ হইতে নিষ্ঠ র কারাবাসানুমতি নিঃস্থত হওয়াবধি পিতা যে চক্ষে হস্ত দিয়াছেন তাহা এখন পৰ্য্যন্তু নামাইলেন না । পিতার নয়নজলে হুস্ত ভাসমান হইয়াছে, যে স্থানে প্রথম বসাইয়াছিলাম সেই স্থানেই উপবিষ্ট আছেন। নীরব, শীর্ণকলেরর, স্পন্দহীন, মৃতকপোতবৎ কারাগার পিঞ্জরে পতিত আছেন। আজ চার দিন, আজ