বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৪
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

বিশ্বাসঘাতকদের প্রতিমূর্ত্তি কার্ডবোর্ড, খড় বা কাঠি দিয়া মনুষ্যাকৃতির বা কোন জন্তুর আকারে তাঁবুতে তৈয়ার করিয়া প্রত্যেকেই এই প্রতিমূর্ত্তির উপর ঘৃণা ও বিদ্বেষ চরমভাবে অভিব্যক্ত করিবেন। (ঘ) ভারতীয় বীরগণের গুণগান করিয়া ও ফৌজের সৈনিকের বীরত্ব প্রশংসা করিয়া বক্তৃতা হইবে।

কেন আমি বাঙ্গলা ত্যাগ করিলাম?

[১৯৪৩ সালের ৯ জুলাই]

সিঙ্গাপুরের বক্তৃতার অংশ:—

 .........আমার বহুমুখী অভিজ্ঞতা দ্বারা বিচার করিয়া আমি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছি যে, ভারতবর্ষের মধ্য হইতে আমরা যত তীব্র আন্দোলনই করি না কেন তাহা আমাদের দেশকে ব্রিটিশ প্রভুত্ব হইতে মুক্ত করিবার পক্ষে যথেষ্ট হইবে না। যদি কেবল ভারতবর্ষের মধ্যকার সংগ্রামই স্বাধীনতা লাভের পক্ষে যথেষ্ট হইত, তাহা হইলে আমি নিশ্চয়ই নির্ব্বোধের ন্যায় বিনা প্রয়োজনে এই বিপদের ঝুঁকি লইতাম না। আমার ভারত ত্যাগ করিবার উদ্দেশ্য, ভারতবর্ষের মধ্যে যে স্বাধীনতা সংগ্রাম চলিতেছে বাহির হইতে তাহাকে সাহায্য করা। প্রকৃতপক্ষে বহিঃসাহায্য ব্যতীত কাহারই পক্ষে ভারতকে স্বাধীন করা সম্ভব নয়। কিন্তু দেশের আভ্যন্তরীণ স্বাধীনতা সংগ্রামে বহিঃসাহায্য অবিলম্বে প্রয়োজন, তাহার পরিমাণ প্রকৃতপক্ষে একান্ত অল্প। কারণ চক্রশক্তির আঘাতে