পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
১৪৫

গ্রহণযোগ্য একটি শাসনতন্ত্র প্রস্তুত করিবেন। কংগ্রেসের মতানুসারে সেই শাসনতন্ত্র যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনতন্ত্র হইবে। যে সকল রাষ্ট্রলইয়া যুক্তরাষ্ট্র গঠিত হইবে, তাহাদিগকে যত অধিক সম্ভব স্বায়ত্তশাসন ক্ষমতা দেওয়া হইবে। কেন্দ্রে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর যাহা অবশিষ্ট থাকিবে যে সকল রাষ্ট্র লইয়া যুক্তরাষ্ট্র গঠিত হইবে, সেই ক্ষমতা সেই সকল রাষ্ট্রে বর্ত্তিবে। পারস্পরিক সুবিধার প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া এবং আক্রমণ প্রতিরোেধরূপ সাধারণ কর্ত্তব্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে পরস্পর সহযোগিতা করিবার জন্য ঐ সকল স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিনিধিগণ সম্মিলিত আলোচনার দ্বারা ভারতের সহিত সম্মিলিত জাতিসমূহের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধের বিষয় স্থির করিবেন। স্বাধীনতা লাভ করিলে ভারত জনসাধারণের সম্মিলিত ইচ্ছা ও শক্তি দ্বারা পুষ্ট হইয়া, কার্যকরীভাবে আক্রমণ প্রতিরোধ করিতে সমর্থ হইবে।

 ভারতের স্বাধীনতা এশিয়ার বৈদেশিক শাসনাধীন অন্যান্য সকল জাতীর স্বাধীনতার প্রতীক এবং অগ্রদূত হইবে। ব্রহ্ম, মালয়, ইন্দোচীন, ডাচ ইণ্ডিজ, ইরাণ ও ইরাক অবশ্যই পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করিবে

 বর্ত্তমান সঙ্কট মুহূর্ত্তে নিখিল ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি প্রধানতঃ ভারতের স্বাধীনতার এবং ভারতরক্ষার সহিত সংশ্লিষ্ট। কিন্তু কমিটির অভিমত এই যে, জগতের ভবিষ্যৎ শান্তি, নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ উন্নতির জন্য বিশ্বের স্বাধীন জাতিসমূহের মৈত্রীবন্ধন একান্ত প্রয়োজন। এতদ্ভিন্ন অন্য কোনও ভিত্তিতে আধুনিক জগতের সমস্যসমূহের সমাধান হওয়া সম্ভবপর নহে। এই ধরণের বিশ্বরাষ্ট্র সঙ্ঘ গঠিত হইলে, যাহাদের দ্বারা সঙ্ঘ গঠিত, সেই সকল জাতীর স্বাধীনতা নিরাপদ হইবে। বিশ্বরাষ্ট্র আক্রমণ প্রতিরোধ, এক জাতি কর্ত্তৃক অন্য