পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
১৪৭

জাতিগত শ্রেষ্ঠতার মনোভাবেরই নিদর্শন। রাষ্ট্রীয় সমিতি জাতিকে আর বাধাদান করিতে পারেন না। সুতরাং গত ২২ বৎসর শান্তিপূর্ণ সংগ্রামের ভিতর দিয়া দেশ যে অহিংসা শক্তি অর্জ্জন করিয়াছে, দেশ যাহাতে সমগ্রভাবে সেই শক্তি প্রয়োগ করিতে পারে, তজ্জন্য নিখিল ভারত রাষ্ট্রীয়সমিতি, স্বাতন্ত্র্য এবং স্বাধীনতায় ভারতবর্ষের যে অবিচ্ছেদ্য অধিকার রহিয়াছে সেই অধিকার প্রতিষ্ঠাকল্পে অহিংস পন্থায় যথাসম্ভব ব্যাপকভাবে গণ-আন্দোলন প্রবর্ত্তনের প্রস্তাব অনুমোদন করিতেছেন। এই সংগ্রাম অনিবার্য্যরূপে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে পরিচালিত হইবে এবং নিখিল ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি তাঁহাকে নেতৃত্ব গ্রহণ করিতে এবং যে সমস্ত পন্থা অবলম্বন করিতে হইবে, সেই সমস্ত পন্থায় জাতিকে পরিচালিত করিবার জন্য তাঁহাকে অনুরোধ করিতেছে।

 নিখিল ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি ভারতবর্ষের জনসাধারণের ভাগ্যে যে সমস্ত বিপদ এবং দুঃখকষ্ট ঘটিবে, তাঁহাদিগকে সেই সমস্ত বিষয় এবং দুঃখকষ্টের সম্মুখীন হইবার, গান্ধীজীর নেতৃত্বে সঙ্ঘবদ্ধ হইয়া থাকিধার এবং ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের শৃঙ্খলপরায়ণ সৈনিক হিসাবে তাঁহার (গান্ধীজীর) নির্দ্দেশ পালন করিবার জন্য অনুরোধ করিতেছে। তাঁহাদিগকে অবশ্যই এই কথা স্মরণ রাখিতে হইবে যে, অহিংসাই এই আলোন্দালনের ভিত্তি। এমন সময় আসিতে পারে যখন আর আমাদের জনগণের নিকট নির্দ্দেশ পৌঁছাইয়া দেওয়া সম্ভবপর হইবে না এবং কোন কোন কংগ্রেসকমিটি কাজ চালাইতে পারিবে না। যখন এইরূপ অবস্থা ঘটিবে তখন যে সমস্ত নরনারী এই আন্দোলনে যোগদান করিবেন, তাঁহাদের প্রতেকেই সাধারণ নির্দেশাবলীর গণ্ডির ভিতরে থাকিয়া নিজ নিজ কাজ চালাইয়া যাইবেন। স্বাধীনতাকামী এবং স্বাধীনতা লাভের চেষ্টায় তৎপর