পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫৪
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

পারে না। ফলে আরম্ভ হইল নিদারুণ অত্যাচার। মোটামুটি ক্ষতির বিবরণ দেওয়া হইল। ১৯৪২সালের আগষ্ট হইতে ১৯৪৪ সালের আগষ্ট মাসের মধ্যে পুলিশ ও সৈন্যদল মোট ২২টী স্থানে গুলি চালাইয়া ৪৪জনকে নিহত, ১৯৯জনকে আহত এবং ১৪২জনকে সামান্য আহত করিয়াছিল। এই সময়ের মধ্যে ৭৩জন স্ত্রীলোকের উপর পাশবিক অত্যাচার করা হয়। এতদ্ব্যতীত ৩১জন স্ত্রীলোকের উপর পাশবিক অত্যাচারের চেষ্টা করা হয় এবং ১৫০ জন স্ত্রীলোককে প্রহার ও শ্লীলতা হানী করা হয়। ৫০৭৬জন লোককে “বে আইন ভাবে” আটক করিয়া রাখা হয়। এতদ্ব্যতীত ৯জন লোককে ভারত রক্ষা নিয়মাবলী অনুসারে আটক রাখা হয়, এবং ৪০১জন লোককে স্পেশাল কনেষ্টবল হিসাবে কাজ করিবার জন্য নিযুক্ত করা হয়। পুলিশ ও সৈন্যদল ১২৪টী গৃহস্থের বাড়ী ভস্মীভূত করে এই সমস্ত অগ্নিকাণ্ডের ফলে ১,৩৯,৫০০৲ টাকা ক্ষতি হইয়াছে। ইহা ছাড়া ৪৯ খানা বাড়ী ভাঙ্গিয়া ৮০৫৭৲ টাকা ক্ষতি করা হইয়াছে। ১০৪৪খানা বাড়ী হইতে ২,১২,৭৯৫৲ টাকা মুল্যের সম্পত্তি লুণ্ঠিত হইয়াছিল ১৩৭৩০ খানি বাড়ীতে তল্লাসী করা হয় এবং ২৭খানি বাড়ী দখল করা করা হইয়াছিল। মোট ৫৯টী পরিবারের ২৫,৩৬৫৲ টাকা মূল্যের সম্পত্তি ক্রোক করা হইয়াছিল। ৪২টী ইউনিয়নে মোট ১,৯০,০০০৲ টাকা, পাইকারী জরিমানা ধার্য করা হয়।

 গভর্ণমেণ্ট ২২টী প্রতিষ্ঠানকে বে-আইনি বলিয়া ঘোষণা করেন। অহিংস বিদ্রোহীগণ সুতাহাটা থানা অধিকার করিলে সরকারী বিমান সমূহ হইতে তাহাদের উপর বোমা বর্ষণ করা হয়।

 যাঁহারা মারা গিয়াছিলেন তাঁহাদের মধ্যে ৭৩ বৎসর বয়স্কা শ্রীযুক্তা মাতঙ্গিনী হাজরা নামে মহিয়সী মহিলা ছিলেন। ইনি