বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫৬
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

করিবার পরিবর্ত্তে নির্যাতিতের গুহদেশে একখণ্ড রুল ঢুকাইয়া ঘুরাইতে থাকিত, উহার ফলে নির্য্যাতিত ব্যক্তি যন্ত্রণায় ছটফট করিতে থাকিত।

কাঁথি মহকুমা

 তমলুক মহকুমার ন্যায় কাঁথিও মেদিনীপুর জেলার একটা মহকুমা। ইহার এলাকায় ছটী থানা আছে। যথা:—রামনগর, কাঁথি, ভগবানপুর পটাশপুর, খেজুরী, ও এগ্রা। এই মহকুমার লোক সংখ্যা প্রভৃতি প্রায় তমলুক মহকুমার ন্যায়। এই মহকুমাতেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আরম্ভের পূর্ব্বে প্রতি ইউনিয়নে প্রতি থানাতে কংগ্রেস কমিটী ছিল।

 আগষ্ট আন্দোলন কাঁথি ও তমলুকে সমানভাবেই চলিয়াছিল। আন্দোলনের ফলে খেজুরী, পটাশপুর ও রামনগর প্রভৃতি থানায় কিছুদিনের জন্য বৃটিশ শাসনের অবসান ঘটিয়াছিল।

 কাঁথি মহকুমাতে ছাব্বিশটি ডাকঘর, তিনটি, সাবরেজেষ্টারী অফিস চল্লিশটি খাসমহল অফিস, চল্লিশটি ইউনিয়ন বোর্ড অফিস, ছাব্বিশটি অন্যান্য অফিস, আটাশটি সেতু, সাতটি মদের দোকান, বারটি ডাকবাংলা ভস্মীভূত বা ধ্বংস করা হয়। উপরোক্ত প্রত্যেক অফিসের জিনিষ পত্র ধ্বংস করা হয়। খেজুরী থানায় সমস্ত টেলিগ্রামের থাম অপসারিত করা হয়। অন্যান্য থানায়ও এইরূপ করা হয়। জাতীয় গভর্ণমেণ্ট বহু সরকারী অফিসার, থানার কর্ম্মচারী, দারোয়ান, কনেষ্টবলকে গ্রেপ্তার করে। বহু মেল বাস নষ্ট করা হয়, নানা স্থানে রাস্তা কাটা হয়, বহু পয়ঃপ্রনালী নষ্ট করা হয়, তেরটি বন্ধুক কাড়িয়া লওয়া হয়। তমলুকও কাঁথী মহকুমার বড় নেতারা