বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬০
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

 জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বলেন যে, মেদিনীপুরের বিদ্রোহীগণ যে সমস্ত রাজনৈতিক দুষ্কর্ম্মকে প্রশ্রয় দিয়াছে তজ্জন্য তাহাদের এই দুর্ভোগ ভুগিতে হইবে।

 জনমতের চাপে পড়িয়া অবশেষে জেলার কর্ত্তৃপক্ষ সরকারী সাহায্য বিতরণ কেন্দ্র খুলিতে এবং বেসরকারী সাহায্য সমিতিগুলিকে সাহায্য কার্য চালাইতে দিতে বাধ্য হন। যে সমস্ত লোক নিজেরাই সরকারী সাহায্যের বেশীর ভাগ অংশ গ্রহণ করিত তাহাদের দ্বারাই সরকারী সাহায্য বিতরণের কার্য্য পরিচালিত হইত। সাহায্যের জন্য যে সমস্ত জিনিষপত্র দেওয়া হইত আত্মসাৎ করাই এই সমস্ত লোকের প্রধান কাজ ছিল। সাধারণতঃ সরকারী গুপ্তচর, গভর্ণমেণ্টের সমর্থক, সরকারী কর্মচারী, গভর্ণমেণ্টের প্রতি অনুকূল মনোভাবাপন্ন ব্যক্তগণই এই সমস্ত সরকারি কেন্দ্র হইতে সাহায্য লাভ করিত। কিন্তু যাহারা প্রকৃতপক্ষে অভাবগ্স্থ ও অসহায় ছিল তাহা দিগকে উপেক্ষা করা হইত।

-“বন্দেমাতরম”—

—জয়হিন্দ—