পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

“এই ঘটনা তাহার জীবনে স্মরণীয় দিন। মহৎ কাজের জন্য দুঃখ ভোগ করায় যে আনন্দ তাহা আমি জীবনে সর্ব্বপ্রথম অনুভব করিলাম। আমার জীবনে এই প্রথম নীতি ও স্বাদেশিকতার কঠোর পরীক্ষা হইয়া গেল।”

 ১৯১৭ খৃষ্টাব্দে স্যার আশুতোষের চেষ্টায় তিনি স্কটিশ চার্চ কলেজে বি, এ ক্লাসে ভর্ত্তি হন। তথা হইতে ১৯১৯ খৃষ্টাব্দে দর্শন শাস্ত্রে অনার্সে প্রথম বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করিয়া তিনি বি,এ পাশ করেন। সুভাষচন্দ্র ইউনিভারসিটি ট্রেণিং কোরেও যোগদান করেন।

 বিলাতে পাঠ্যাবস্থা—এই সময়ে পাঞ্জাবে জালিয়ানবাগে ওভোয়ার কর্তৃক নিরস্ত্র জনতার উপর গুলি চালনা, খিলাফত ব্যাপার ও রাউলাট আইন প্রবর্তন লইয়া দেশে তুমুল আন্দোলন জাগিয়া উঠিয়াছে। শাসকবর্গও দেশব্যাপি কঠোর নীতি আরম্ভ করিয়াছেন। পাছে ভাবপ্রবণ সুভাষচন্দ্র এই আন্দোলনে যোগ দেয় এই ভয়ে সুভাষচন্দ্রের পিতা সুভাষ চন্দ্রকে পড়াইবার জন্য ও বিলাতি আবহাওয়ায় মনের পরিবর্তনের জন্য বিলাত পাঠাইবার প্রস্তাব করিলেন। সুভাষচন্দ্র ইংরাজের গোলামি করিতে ঘৃণা বোধ করেন। যে শাসকের অত্যাচার হইতে দেশকে বাঁচাইতে হইবে তাহারই চাকরি করিতে হইবে—ইহা ভাবিতেও তাঁহার প্রাণে কষ্ট হইতে লাগিল। শেষে অনেক মানসিক তর্কের পর এবং বন্ধুদের ও আত্মীয় স্বজনের অনেক অনুরোধে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিলাত যাইতে