বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
২৩

তুমুল আন্দোলন হয়। ইহার ফলে জেলকর্ত্তাকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়।

 সুভাষচন্দ্র জেলে থাকা কালেই করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। মুক্তির পর তিনি Trade Union Congressএর সভাপতি নির্ব্বাচিত হন। ১৯৩১ খৃষ্টাব্দে জানুয়ারীতে মালদহ জেলায় সাত দিনের জন্য সুভাষের কারাদণ্ড হয়। লাহোর কংগ্রেসের পর প্রত্যেক বৎসর ২৬ শে জানুয়ারী শোভাযাত্রা করিয়া ও স্বাধীনতা সঙ্কল্প বাক্য পাঠ করিয়া 'স্বাধীনতা' দিবস পালিত হয়। ১৯৩০ খৃষ্টাব্দে এইরূপ শোভাযাত্রা করাতে সুভাষের ও এগার জনের ছয় মাস কারাদণ্ড হয়।

 গান্ধী আরউইন প্যাক‍্ট—লণ্ডনে প্রথম গোল টেবিল বৈঠকে কংগ্রেসের কোন প্রতিনিধি না থাকায় উহা ব্যর্থ হয়। গভর্ণমেণ্ট দমন নীতি অবলম্বন করিয়া এবং সমস্ত নেতাকে কারাগারে পাঠাইয়াও কোন প্রকারে আইন অমান্য আলোলন বন্ধ করিতে পারিলেন না। উদার নৈতিক দলের তেজ বাহাদুর সপ্র‍‌ু ও জয়াকরের মধ্যস্থতায় গভর্ণমেণ্ট কংগ্রেসের সঙ্গে একটা আপোষ মীমাংসা করার জন্য সকল নেতাকে ও রাজনৈতিক বন্দীদের বিনা সর্ত্তে মুক্তি দেন। এই সর্ত হয় যে মহাত্মা গান্ধী সাময়িক ভাবে আইন অমান্য আন্দোলন বন্ধ করিবেন এবং লণ্ডনে গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দিবেন। ইহাই বিখ্যাত গান্ধী—আরউইন প্যাকট। চরমপন্থী দল এই চুক্তির বিরুদ্ধে ছিলেন।