পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
২৯

মাত্রই তাঁহাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং যারবেদা জেলে পাঠান হয়। এই অন্যায় গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী তুমুল আন্দোলন হয়। কংগ্রেসও ইহার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। ভারতীয় রাষ্ট্রীয় পরিষদে মুলতুবি প্রস্তাব আনা হয়। গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ১০ই মে “নিখিল ভারত সুভাষ দিবস" পালিত হয়। বিলাতেও পার্লামেণ্টে প্রতিবাদ জ্ঞাপন করা হয়। ২০শে মে সুভাষকে যারবেদা জেল হইতে কাসিয়াংএর গির্দ্দা পাহাড়ে শরৎচন্দ্রের বাড়ীতে অন্তরীণ রাখা হয়। সেখান হইতে চিকিৎসার জন্য তাঁহাকে ১৭ই ডিসেম্বর কলকাতায় মেডিক্যাল কলেজ হাঁসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অবশেষে সুভাষচন্দ্রকে ১৯৩৭ সালে ১৭ই মাচ্চ সুদীর্ঘ পাঁচ বৎসর পর বিনাসর্ত্তে মুক্তি দেওয়া হয়।

 স্বাস্থ্যোন্নতি —তিনি একমাস ডাঃ নীল রতন সরকারের চিকিৎসায় থাকেন। ১লা মে তিনি পাঞ্জাবের ডালহৌসী নামক স্থানে যাত্রা করেন। ডালহৌসীতে ডাঃ ধরমবীরের গৃহে অবস্থানের পর ৭ই অক্টোবর কলিকাতায় ফেরেন। এই সময় তাঁহার স্বাস্থ্যের অনেক উন্নতি হয়। তিনি কিছুদিন কার্শিয়াংতে থাকার পর ১৮ই নভেম্বর স্বাস্থ্য লাভের জন্য পুনরায় তৃতীয়বার ইউরোপ ভ্রমণ করেন। তিনি অষ্ট্রিয়ায় বাদ‍্গাস্তিনে প্রায় ছয় সপ্তাহ চিকিৎসা করান। এইবার তাঁহার সর্বত্র অবাধ গতিবিধি ছিল। তিনি লণ্ডনে বিপুলভাবে সম্বর্ধিত হন এবং প্রথম বক্ত‌ৃতা দেন।