পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪০
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

বাণী আছে এবং ইহা ‘আমার রাজনৈতিক বাইবেল’ স্বরূপ। বাংলা সরকার আমার সহিত স্পষ্টতঃ বে-আইনী ও অসঙ্গত ব্যবহার করিতেছেন। এই অদ্ভ‌ুত আচরণের একমাত্র কৈফিয়ত আমার মনে হয় যে বাংলা সরকার কোন অজ্ঞাত কারণে আমার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ মূলক নীতি অবলম্বন করিয়াছেন।”

 “...অন্যায় করার চেয়ে অন্যায় সহ্য করা অধিক পাপ। সুতরাং আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করিব। সাধারণ প্রতিবাদ কাগজে বা সভাতে আন্দোলন, সরকারের নিকট আবেদন নিবেদন, পরিষদে মুক্তির দাবি, আইনের আশ্রয়—সবই নিস্ফল হয় নাই কি? এখন বন্দীদের হাতের শেষ অস্ত্র অনশনে প্রাণ ত্যাগ। আমি জানি ইহাতে কোন ফল হইবে না। টেরেন্স ম্যাকসুইনি ও যতীন দাসের দৃষ্টান্ত আমার মানস চক্ষে ভাসিতেছে। (ইহার দুইজনে জেলে অনশনে প্রাণত্যাগ করেন।)”

 “বর্তমান অবস্থায় আমার জীবন দুর্ব্বিষহ হইয়াছে। অবিচার ও অন্যায়ের সঙ্গে অনবরত আপোষ করিয়া জীবনের মূল্য ক্রয় করা আমর ধাতে সয় না। এইরূপ মূল্য দেওয়ার চেয়ে মরণ শ্রেয়ঃ। ......আমি বলি “হয় আমাকে মুক্তি দাও না হয় আমি মরিব”।...যদিও আমার মৃত্যুতে এখনই কোন বাস্তব ফল হইবে না তবুও কোন ত্যাগই বৃথা যায় না। কেবল ত্যাগ ও কষ্টের মধ্যে দিয়েই কোন মহৎ উদ্দেশ্য সফল হয়। সর্ব দেশে সর্বকালে শহীদের রক্ত হইতেই নূতন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে।”