বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
৪৩

নীয় ব্যবহারে কর্ম্মজীবনের প্রতি তিনি বীতশ্রদ্ধ হন। এই সময় তিনি বর্হিজগৎ হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া বাড়ীর দোতলায় নিজের ঘরে নিঃসঙ্গ অবস্থায় থাকিতেন। এই সময় তিনি সম্পূর্ণ মৌন ব্রত অবলম্বন করেন, কাহারও সঙ্গে এমন কি বাড়ীর কোন লোকের সঙ্গেও দেখা সাক্ষাৎ করিতেন না। তিনি তপস্বীর ন্যায় পূজা ও গভীর ধ্যানে সময় অতিবাহিত করিতেন। যিনি দিবারাত্রি বাহিরের কর্মের মধ্যে ডুবিয়া থাকিতেন হঠাৎ তিনি সকল কর্ম্ম হইতে অবসর লইয়া আত্মচিন্তায় মগ্ন হইলেন—ইহাতে সকলেই বিস্মিত হইলেন। তিনি অন্তর্ধানের পূর্বে কয়েক দিবস মাত্র ফলের রস ও দুধ পান করিতেন। হঠাৎ ১৯৪১ সালের ২৬শে জানুয়ারী (ভারতের স্বাধীনতা দিবস) সংবাদ পাওয়া গেল সুভাষচন্দ্র অসুস্থ অবস্থায় তাঁহার বাড়ী হইতে রহস্যজনকভাবে অন্তর্ধান করিয়াছেন। যে দিন অন্তর্ধান করেন সেই দিন তাহার ঘরে ব্যাঘ্রচর্ম্মের উপর একখানি গীতা ও ৺কালীর ছবি পাওয়া যায়। প্রায় একবৎসর তাঁহার অন্তর্ধানের কোন কুল কুনার। হইল না—কোথায় গেলেন বা কি উপায়ে গেলেন। কেহ ভাবিলেন যে রাজনীতিতে বাতশ্রদ্ধ হইয়া সন্ন্যাস-ব্রত অবলম্বন করিয়াছেন; কেহ ভাবিলেন তিনি বিদেশে আশ্রয় লইয়াছেন। সর্বপ্রথমেই ভারতে Council of State এ এবং বিলাতে House of Commonsএ গভর্ণমেণ্টের তরফ হইতে বলা হয় যে সুভাষচন্দ্র খুব সম্ভব বার্লিনে কিংবা রোমে আছেন। এই সংবাদের সূত্র ছিল রোম, বার্লিন ও টোকিও রেডিও হইতে