পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
৪৯

প্রবাসী ভারতীয়দের দ্বারা আজাদ হিন্দ সঙ্ঘ (Indian Independence League) নামক প্রতিষ্ঠান গঠন করা হউক। ইহার অধীনে আজাদ হিন্দ ফৌজ থাকিবে। (আজাদ= স্বাধীন)। আজাদ হিন্দ সঙ্ঘের কর্ম্ম পরিষদ জাপানের নিকট সামরিক রসদ চাহিতে পারিবেন। (২) স্বাধীন ভারতের ভবিষ্যৎ শাসনতন্ত্র রচনা করিবে ভারতীয় কংগ্রেস।

 ১৯৪২ সালের মাঝামাঝি ব্যংককে ভারতীয়দের বিরাট সভা হয়। ইহাতে স্থির হয় যে (১) আজাদ হিন্দ সঙ্ঘের আদর্শ ও কার্যপ্রণালী ভারতীয় কংগ্রেসের অনুরূপ হইবে এবং কংগ্রেসের সঙ্গে সঙ্ঘের যোগ থাকিবে। (২) প্রবাসী বেসামরিক ও সামরিক ভারতীয়দের মধ্য হইতে সৈন্য সংগ্রহ করিয়া আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করিতে হইবে। (৩) সঙ্ঘের প্রতি জাপানীদের সুস্পষ্ট নীতি ঘোষণার দাবি জানাইতে হইবে।

 আজাদ হিন্দ সঙ্ঘ ও ফৌজ—অতঃপর গণতান্ত্রিক ভিত্তিতে আজাদ হিন্দ সঙঘ গঠিত হয়। রাসবিহারী বসু সভাপতি হন। সিঙ্গাপুরে প্রধান কেন্দ্র ও অন্যান্য জায়গায় শাখা স্থাপিত হয়। এই সময়ে ভারতের ভিতরে গান্ধীজির নির্দ্দেশে ‘ভারত ত্যাগ কর' আন্দোলন আরম্ভ হয়। ইহাই বিখ্যাত আগস্ট আন্দোলন। এই আন্দোলনের ফলে মেদিনীপুরে জাতীয় গভর্নমেণ্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যাপকভাবে হিংস ও অহিংস কার্যকলাপ চলিতে থাকে। (বিবরণ পরে দ্রষ্টব্য)

 এই চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতিতে ক্যাপ্টেন মোহন সিংহের অধি-