পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৬
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

করিয়াছেন। বর্তমানে স্বামীনাথনের বয়স ৩২ বৎসর। তাঁহার পিতা মাদ্রাজের একজন বিখ্যাত ব্যারিষ্টার ছিলেন এবং তাঁহার মাতা শ্রীযুক্তা আম্মু স্বামীনাথন সুপরিচিত। ইনি সম্প্রতি ভারতীয় কেন্দ্রীয় পরিষদে সদস্যা নির্ব্বাচিত হইয়াছেন। এই বীরাঙ্গনার বাল্যে নানারূপ বিদ্যার ও কলার্চ্চার প্রতি অনুরাগ ছিল। তিনি বিশিষ্ট ক্রীড়ামোদী এবং অসামান্যা রূপবতী। তিনি বিমানচালক জনৈক ব্রাহ্মণযুবকের সহিত পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হইতে মনস্থ করেন। কিন্তু গার্হস্থ্য-জীবনের আকর্ষণ তাঁহার কাছে নিষ্প্রভ হইয়া যায়। তিনি অবিবাহিত থাকিতেই মনস্থ করেন। বহুগুণবিভূষিতা শ্রীমতী লক্ষ্মীর কংগ্রেসানুরাগ সুবিদিত ছিল।

ক্যাপ্টেন শাহনওয়াজ

 পাঞ্জাবের এক প্রসিদ্ধ বংশে ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ খানের জন্ম হয়। তিনি ১১ তম পাঞ্জাব রেজিমেণ্টের অফিসার ছিলেন। তাঁহার পরিবারের ৬২ জন লোক বৃটিশ ভারতীয় বাহিনীতে চাকুরী করেন। আজাদ হিন্দ ফৌজে তিনি কর্ণেলের পদে উন্নীত হন। জানা গিয়াছে যে, তিনিই সর্ব্বপ্রথম ভারতভূমিতে মণিপুরে ভারতের জাতীয় পতাকা উড্ডীন করেন। তাঁহার পরিচালিত ডিভিসনের সৈন্যরা স্বতন্ত্রভাবে সংগ্রাম করিতেছিল—জাপানীদের নির্দেশে নহে। ১৯৪৫ সালের ১৭ই মে পেগু রণাঙ্গনে তিনি ধৃত হন।