বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯২
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

দোকানে প্রবেশ করিয়া, তাঁহাকে পুস্তুভাষায় অভ্যর্থনা করিলেন, “আস্‌সালাম আলাইকুম।”

 উত্তমচাঁদ বিস্মিত ও চমকিত হইলেন। তিনি একমুহূর্ত্ত নীরব থাকিয়া, পরক্ষণে জিজ্ঞাসা করিলেন, “বলুন, আপনার কি প্রয়োজন?”

 আগন্তুক কোন কথা কহিলেন না, তিনি দু’ একবার ইতস্ততঃ দৃষ্টিপাত করিয়া অবশেষে অমরনাথের দিকে চক্ষু ফিরাইলেন।

 উত্তমচাঁদ বুঝিলেন, আগন্তুক অমরনাথের সম্মুখে কথা বলিতে চাহেন না। তিনি তখন অমরনাথকে স্থানান্তরে সরাইবার অভিপ্রায়ে তাহাকে কহিলেন, “যাও, তুমি দুই কাপ চা লইয়া আইস।”

 অমরনাথ চলিয়া গেল—আগন্তুক তখন তাঁহার পরিচয় দিয়া কহিলেন, “আমার নাম ভগৎরাম, মর্দ্দন জেলায় ঘল্লা-ধের গ্রামে আমার বাড়ী। আমারই ভাই পাঞ্জাবের গভর্ণর বাহাদুরকে গুলি করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। নওজোয়ান ভারত-সভার আমিও একজন কর্ম্মী ছিলাম।”

 উত্তমচাঁদ এখন তাঁহাকে চিনিতে পারিলেন। যাহোক, তাঁহার কি প্রয়োজন, তিনি তাহা জানিতে চাহিলেন।

 ভগৎরাম কহিলেন, “সুভাষবাবুর নাম নিশ্চয়ই জানেন। কয়েক দিন যাবৎ তিনি পলাইয়া কাবুলে আসিয়াছেন, আমরা তাঁহাকে রাশিয়ায় পাঠাইতে চাই; কিন্তু যে সরাইখানায় আমার সঙ্গে তিনি আছেন, সেখানে এক আফগান