বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৬
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

জন্মগ্রহণ করেন এবং যখন তাঁহারা চলিয়া যান, তখন সেই শূন্যস্থান সহজে পূর্ণ হয় না।”

 খাঁ আবদুল গফুর খাঁ বলিয়াছেন:—“আমার পুরাতন সহকর্ম্মী মিঃ সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুতে আমি শোকাহত হইয়াছি। আমরা উভয়ে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরূপে একসঙ্গে কাজ করিয়াছি এবং তিনি ভারতের মঙ্গল এবং উন্নতির জন্য যাহা করিয়াছেন, তজ্জন্য আমি তাঁহাকে শ্রদ্ধা করি।”

 ডক্টর শ্যাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলিয়াছেন:—“সত্যই যদি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু হইয়া থাকে, তবে এই সংবাদ ভারতের সর্ব্বত্র গভীর দুঃখের সহিত গৃহীত হইবে। দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি যথাসর্ব্বস্য ত্যাগ করিয়াছিলেন।”

 এস. কে. পাটিল বলিয়াছেন:—“এই মুত্যু-সংবাদে সমগ্র দেশে শোকচ্ছায়া ছড়াইয়া পড়িয়াছে; দুর্ঘটনার মধ্যে আমাদের বর্ত্তমান কালের শ্রেষ্ঠ দেশ-সেবকের ঝটিকাময় জীবনের অবসান হইল। তিনি তাঁহার জীবনে যাহা কিছু করিয়াছেন, সবই দেশপ্রমে উদ্বুদ্ধ হইয়া করিয়াছেন।”

 কিরণশঙ্কর রায় বলিয়াছেন:—“এখন তিনি (সুভাষচন্দ্র) ইতিহাসের অন্তর্ভুক্ত। তথাপি ভারতের প্রত্যেক গৃহে গভীর দুঃখ এবং শোকের ছায়া নিপতিত হইবে।”

 স্বামী সহজানন্দ বলিয়াছেন:—“সুভাষচন্দ্রের অকালমৃত্যুর কথা শুনিয়া আমি গভীর ভাবে শোকাচ্ছন্ন হইয়া পড়িয়াছি। দীর্ঘকাল ব্যাপী তাঁহার সাহচর্য্যে আমার বিশ্বাস