বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
৩৯

প্রকৃত পক্ষে সর্ব্বদলীয় প্রতিনিধি-সম্মেলন নহে। ১৩ই নভেম্বর লণ্ডনে গােলটেবিল বৈঠকের আলােচনা আরব্ধ হইয়াছিল।

 ১৯৩০ খৃষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে কলিকাতার মেয়র-রূপে সুভাষচন্দ্র পাবনা পরিভ্রমণে গমন করেন; তৎকালে পাবনা-মিউনিসিপ্যালিটি একটি সভায় তাঁহাকে অভিনন্দন প্রদান করে। এই অভিনন্দনের উত্তরে তিনি বলিয়াছিলেন—

 “মানব-জীবন একটি অখণ্ড পূর্ণতা মাত্র। ইহাকে বায়ুহীন কক্ষে বিভক্ত করা চলে না। অংশে অংশে ইহার প্রতি দৃষ্টি প্রয়ােগ করা সম্ভব নহে। নাগরিক জীবন, রাজনীতিক জীবন ও সামাজিক জীবনকে পরস্পর বিচ্ছিন্ন জীবন মনে করা যাইতে পারে না। অভ্যন্তর হইতে একটা বিরাট আদর্শ উদ্ভূত না হইলে নাগরিক জীবন সুন্দর ও পূর্ণ হওয়া সম্ভব নহে, স্বাধীনতা ব্যতীত সেই আদর্শ উদ্ভূত হওয়া অসম্ভব। *** প্রভাত-সূর্য্যোদয়ে যেমন সুদীর্ঘ রজনীর তমসাবৃত মেঘমালা দূরে পলায়ন করে, তেমনি আমরা শীঘ্রই দেখিব যে যুগযুগান্তরব্যাপী পরাধীনতা প্রভাতের কুজ্ঝটিকার মত অন্তর্হিত হইবে এবং স্বাধীনতা-সুর্য্য জাতির ললাটে গৌরবময় বিজয়-টীকা পরাইয়া দিবে।”

 সুভাষচন্দ্রের এই সকল বক্তৃতা হইতে স্পষ্টই বুঝিতে পারা যায় যে, স্বাধীনতা ছিল তাঁহার হৃদয়-শোণিত; স্বাধীনতাকে বাদ দিয়া তিনি কখনও কিছু ভাবিতেই পারিতেন না।

 ১৯৩১ খৃষ্টাব্দের জানুয়ারী মাসে সুভাষচন্দ্র উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে পরিভ্রমণ করেন। মালদহ পরিভ্রমণকালে তাঁহার উপর ফৌজদারী কার্য্যবিধির ১৪৪ ধারা অনুসারে উক্ত